জানা যায়,মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপশহর বোরহান উদ্দিন হাউজিং এস্টেটের একটি মনোহারী দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ এর আগেও পপি একাধিক বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো।
গ্রেফতারকৃত পপি বেগম (৩৫) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের আউয়াল মিয়ার স্ত্রী। তবে পুলিশের কাছে তার স্বামীর নাম সুমন মিয়া হিসেবে সে পরিচয় দেয়। পপি বর্তমানে নগরীর উপশহর এইচ ব্লকের ৩ নাম্বার রোডের সিপার মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছে জব্দকৃত গাঁজা কাষ্টঘর এলাকা হতে পাইকারী দরে ক্রয় করে সে দোকানে মজুদ করে রাখতো। পরে ঘটনাস্থল এলাকা সহ আশপাশ এলাকার মাদক সেবীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি করে থাকে।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহিন মিয়া ও দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন এসআই মোঃ সাহিদুল আলম, এসআইন আবু রায়হান নূর, এএসআই আব্দুস সামাদ, এএসআই ইব্রাহিম আল সুমন, এএসআই দুলাল হোসাইন সহ কনস্টেবল আব্দুল কাদির, মামুন খান, মাসুদুর রহমান, ইকবাল হোসেন,জালাল উদ্দিন, বিলকিস বেগম ও তৃপ্তি রানী দেব।
গোপন সূত্রে জানা যায়,পপি,তার স্বামী ও ছেলে মাদক কারবার, পকেট চুরি সহ অপরাধ জগতে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন থেকে হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ধরে গাঁজা ক্রয় করে সিলেট শহরে এনে নিজের দোকান ও বাসায় মজুদ করে রাখতো।এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও রিকশা চালকদের মাধ্যমে মাদকসেবিদের কাছে তা বিক্রি করতো।