শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
নির্বাচন জকিগঞ্জে,ফান্ড গঠন যুক্তরাষ্ট্র!

নির্বাচন জকিগঞ্জে,ফান্ড গঠন যুক্তরাষ্ট্র!

নিউজ ডেস্ক ◾নির্বাচন জকিগঞ্জে, আর ফান্ড রাইজিং হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে! সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ফান্ড রাইজিং হচ্ছে বলে একাধিক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সিলেটে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।

জানা গেছে, সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইফজাল আহমদ চৌধুরী। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করা এই প্রার্থীর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রচুর অর্থ আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে।
যদিও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফান্ড সংগ্রহ তেমন একটা দোষের কিছু নয়। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহে বিভিন্ন দেশে, এমনকি বাংলাদেশেও এটা হয়ে থাকে। তবে সেটা জাতীয় সংসদ বা এমনসব নির্বাচনে যে নির্বাচনে প্রচুর ভোটার থাকে। তখন প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া খরচার বাইরে গিয়েও গোপনে প্রচুর টাকা-পয়সা খরচ করেন। খাত হিসাবে উল্লেখ করার তেমন কোন সুযোগও থাকেনা। ভোটার বেশি, সেই হিসাবে প্রচারণা ব্যয়ও বেশি। তবে নামে প্রচারণা হলেও যেকোন নির্বাচনে বেশি খরচ হয় কিন্তু ভোট কেনাবেচায়। তাই টাকাও লাগে বেশী।
তবে জেলা পরিষদ নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। এ নির্বাচনে ভোটার হাতেগোনা কয়েকজন। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানবৃন্দ। এই সামান্য প্রচারণার জন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়! শুনে চমকে উঠছেন অনেকেই।
তবে প্রবাসীদেরই নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ইফজাল আহমদ চৌধুরীর উদ্দেশ্য কেবল প্রচারনাই নয়, ভোট কেনা। তিনি জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোট ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ফান্ড সংগ্রহ করছেন বলে নিউইয়র্কের প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ইফজালের বন্ধু ও সমর্থক গোষ্ঠীর শিরোনামে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে মতবিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পরে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসীদের প্রচারণার খরচ বাবদ ফান্ড সংগ্রহের আবেদন জানানো হচ্ছে। কারও কারও কাছে বা কোন কোন সভায় প্রকাশ্যেই ভোট কেনার প্রসঙ্গটাও তুলে ধরা হচ্ছে।
তেমনি এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জকিগঞ্জের এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তিনি জানান, সেখানে মতবিনিময়ের নামে ফান্ড সংগ্রহে অভিযান শুরু হয়। অধিকাংশ প্রবাসীই জানেন না, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সীমিত ভোটারের খবর। তাই তারা টাকা-পয়সা দিচ্ছেন। কেউ দিচ্ছেন স্বতঃস্ফুর্তভাবে। আর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের বাংলাদেশে ভোট কেনাবেঁচা যে স্বাভাবিক ব্যাপার, সেটি বুঝানো হচ্ছে।
এই প্রবাসীর মতে, এভাবে বিদেশের মাটিতে দেশের জনপ্রতিনিধিদের মানসম্মাণ ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছেন ইফজাল আহমদ চৌধুরী ও তার বন্ধু সমর্থকরা।
তিনি জানান, আমি তাদের সাথে দ্বিমত করে টাকা না দিলে কি হবে, অনেকেই দিচ্ছেন।এ ব্যাপারে এই প্রবাসী আইনশৃঙখলা বাহিনীসহ সচেতন মহল, জনপ্রতিনিধি এবং প্রবাসীদের সচেতন হওয়ার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।