শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
শিক্ষা প্রতিবেদন ◾গত ০৩/৭/২০২২ ইং তারিখে বাংলাদেশ জার্নালে প্রকাশিত একটি খবরে পড়লাম ‘করোনা উর্দ্ধমুখী, ক্লাসে সরাসরি পাঠদান বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে UGC ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ।’ এ অবস্থা পরিলক্ষিত হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহন করলে এ থেকে কিছুটা সুফল পাওয়া যাবে। আগেই বলে রাখি প্রস্তাবসমুহ একান্তই নিজস্ব। কারো সাথে শতভাগ দ্বিমত থাকতে পারে।
প্রস্তাব -১ঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা একসাথে নেওয়া যেতে পারে। যেমন মাসের বিজোড় তারিখে মাধ্যমিক ও জোড় তারিখে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিনেও পরীক্ষা চলবে। এ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ও আনুষাঙ্গিক মালামাল পরিবহন ব্যায়ও কমবে। বিকেলে স্ব স্ব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষক ব্যবহারিকের একটি নম্বর পাঠিয়ে দিবেন। ১৯৯৫ সালের দিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এই ৩ স্তরের পরীক্ষা একসাথে অনুষ্ঠিত হতো। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা একসাথে নেওয়া একটু ঝামেলা আছে তবে অতিরিক্ত কিছু জনবল নিয়োগ করলে অসম্ভব নয়।
এ পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ২/৩ মাস সময়ের সাশ্রয় হবে।
প্রস্তাব -২ঃ সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ‘হাজিরা শীট’ এর একটি কপি সংযুক্ত Appeard certificate দিবেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে উচ্চ মাধ্যমিকে সাময়িক ভর্তি ও ক্লাস শুরু করা যেতে পারে। ফল প্রকাশের সাথে সাথে শিক্ষাবোর্ড ভর্তি কনফার্ম করবে। নামীদামী কলেজগুলো একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে, বাকীরা JSC পরীক্ষার সনদ দেখে ভর্তি করবে। এ পদ্ধতিতে পাশকরা (কম-বেশি৭০%) শিক্ষার্থীদের ৩/৪ মাস সময়ের সাশ্রয় হবে। পরীক্ষা পরবর্তী ৩ মাসে তরুন ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বল্গাহারা হরিণের মত হয়ে বিভিন্ন অনলাইন গেম, অসৎসঙ্গ ও বিভিন্ন নেশায় জড়িয়ে পড়ে। এটা কি কম ক্ষতি?
প্রস্তাব -৩ঃ ফল প্রকাশের ৩ সপ্তাহ পরে ১ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের আলাদা সেটে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে ১ দিনে সব পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। দুই পত্র বিশিষ্ট সাবজেক্ট হলে সকাল-বিকাল পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। উত্তরপত্র ঐদিনই বোর্ডে যাবে। পরীক্ষকবৃন্দ বোর্ডে গিয়ে খাতা মূল্যায়ন করলে ১ সপ্তাহ পরে ফল প্রকাশ করা সম্ভব (পূণঃনিরীক্ষণ নাই)। কোন শিক্ষার্থী ১ বিষয়ে C/D গ্রেড প্রাপ্ত হলে সে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পূণঃ নিরীক্ষণের ফলাফলের সাথে এই ফল প্রকাশ করা যেতে পারে। ১৯৯০ সালের দিকে ১ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের এভাবে পরীক্ষা নেওয়া হতো। এটাকে ‘কম্পার্মেন্টাল’ পরীক্ষা বলা হতো। এ পদ্ধতিতে ১ বিষয়ে পাশকরা (কম-বেশি ১০%) শিক্ষার্থীদের ১ বছর সময়ের সাশ্রয় হবে।
ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম
লেকচারার, আইসিটি
দুবাগ স্কুল এন্ড কলেজ
বিয়ানীবাজার, সিলেট।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।