মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
যে গ্রামের ভোর ‘ঠক ঠক’ শব্দে শুরু হয়

যে গ্রামের ভোর ‘ঠক ঠক’ শব্দে শুরু হয়

দর্পণ ডেস্ক : প্রায় ৪০ বছর আগে গ্রামটিতে কয়েকজন তাঁত কারিগর কম্বল বানানো শুরু করেছিলেন। তাদের দেখে অনেক বেকার তাঁত শিল্পে নিজেদের জড়িয়ে স্বাবলম্বী হন। এখন গ্রামের প্রায় সব পরিবারই তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ভোর হয় তাঁতের ‘ঠক ঠক’ শব্দ।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের এ গ্রামের নাম শাঁওইল মধ্যপাড়া। বর্তমানে সেখানে তৈরি হওয়া চাদর, কম্বল, গামছা তোয়ালেসহ নানা ধরনের বস্ত্র বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে। এমনকি তাঁতের পোশাকের একটি হাটও বসে গ্রামটিতে। বর্তমানে এটি তাঁত শিল্পের গ্রাম নামে পরিচিত। জেলার সিংহভাগ শীতবস্ত্র তৈরি হয় এই শাঁওইল মধ্যপাড়া গ্রাম থেকেই।

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সব বাড়ি থেকেই তাঁতের ‘ঠক ঠক’ শব্দ ভেসে আসছে। বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা। কেউ এক হাত দিয়ে টানছেন তাঁত যন্ত্রের দাঁড়ি, আরেক হাত দিয়ে নাড়ছেন সুতার কাঠি যন্ত্র। কেউ আবার চরকায় সুতা কাটছেন। এভাবেই তৈরি হচ্ছে বাহারি রঙ ও নকশার কম্বল, তোয়ালে, চাদর, গামছাসহ হরেক তাঁত বস্ত্র।

তাঁত কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিন-রাতের সিংহভাগ সময় তাঁত নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তারা। সব বয়সী নারী-পুরুষ সকাল থেকে গভীর রাত পোশাক তৈরির কাজ করেন। তাঁতই তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস।

তাঁত শিল্পের গ্রাম শাঁওইল মধ্যপাড়ার কারিগর মতিউর রহমান বলেন, একটি তাঁত যন্ত্র দিয়ে দিনে ৮-১০টি কম্বল-চাদর, ১৫-২০টি গামছা তৈরি করা যায়। প্রকারভেদে প্রতিটি কম্বল ২৫০-৯০০ টাকায়, চাদর ৩৫০-৭০০ টাকায়, তোয়ালে ১৫০-৩০০ টাকায়, গামছা ১২০-২৮০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়সাবিদ আলী নামে আরেক তাঁত কারিগর বলেন, কিছু ব্যবসায়ী গ্রামে ঘুরে-ঘুরে কম্বল ও চাদর সংগ্রহ করেন। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু কারিগর অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজ করেন। এ কারণে বাকিরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক জাহেদুল ইসলাম বলেন, আদমদীঘি উপজেলার শাঁওইল মধ্যপাড়া গ্রামের অধিকাংশ তাঁত শিল্পী অর্থনৈতিক সমস্যায় আছেন। কিছু সুবিধাভোগী কারিগর বাড়তি মুনাফা নিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করছেন। এ বিষয়ে পাইকার ও তাঁত শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।