শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির চরম শিখরে খেটে খাওয়া মানুষ

দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির চরম শিখরে খেটে খাওয়া মানুষ

বদরুল ইসলাম : বিশ্বে চলছে করোনার তান্ডব।সেই তান্ডবে উলট পালট হচ্ছে বিশ্বের হাল চালও।লাখো মানুষের মৃত্যু, কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত ফলে স্তবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব।থমকে আছে অর্থনীতি ও।
এদিকে করোনাকালীন পুরো বিশ্ব সীমাবদ্ধতার মধ্যে চললেও বাংলাদেশ তার পুরো ব্যতিক্রম।এখানকার ৮০% মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। একাদিক বারের বন্যা কৃষিতে এনেছে প্রচন্ড আঘাত।ফলে কৃষকরা হয়ে আছে দিশেহারা। করোনার প্রাথমিক আঘাতকালীন প্রায় তিন মাস লকডাউনে ছিলো পুরো দেশ।ফলে দেখা দেয় বেকারত্ব আর অনাহার। সেই সুবাদে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়।আজ যেনও তিলে তিলে তার মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণনকে।বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যমূল্য দ্বীগুণ থেকে তিন গুণ হারে বৃদ্ধী পেয়েছে।করোনার সংকট এখনও কাটে নি,অন্য দিকে বন্যায় বিলীন হয়ে গেছে আউশ আমন ধান,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগিত ফলে উদাসীনতায় কাটছে মানুষের সময়।
সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলায় ভরপুর বাংলাদেশ আজ শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। অধিকাংশ মানুষের ভেতরেই অসৎ উপায়ে স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার প্রবণতা বর্তমানে অধিক হারে দেখা যাচ্ছে। সবুজ ঘাসের গালিচায় মোড়ানো যে গ্রাম-বাংলা সোনালি রোদ্দুরের হাসিতে মুখর হয়ে থাকত, সেসব এখন গ্রাম-গঞ্জের নর-নারীকে যথারীতি আনন্দ দান করতে পারছে না। অভাব আর দারিদ্র্যের কশাঘাতে আজকের জনজীবন দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। জীবন ধারণের উপযোগী প্রতিটি জিনিসের অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায় ৪০ টাকা কেজির চাল ৫৫-৬০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।২৫টাকা কেজির আলু ৫০ টাকা,পিয়াজ ৩০-৩৫ টাকা কেজি হলেও বর্তমানে ৯৫-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।কাঁচা তরকারির বাজার দর দ্বীগুণ আকার ধারণ করেছে।
ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই ।অল্প সময়ে বড় হওয়া অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্যই সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষিতে বিপর্যস্ত, একের পর এক বন্যার আঘাত তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন অবস্থা দরিদ্র ব্যক্তিদের পক্ষে বজ্রাঘাততুল্য। বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে দেশের সাধারণ মানুষেকে আরও একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদানে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।