মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পথে

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পথে

পলাশ আফজাল(সিলেট)◾সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান নদীগুলোর পানি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।

সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নদ-নদীর বন্য পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতলের ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে ৭৯টিতে বাড়ছে এবং ২৬টি স্টেশনে সামান্য কমছে।

বাপাউবো প্রতিবেদনে বলা হয়, সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাটে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ ও শেওলায় এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনগুলোতে ওই এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীর পানি কিছু স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

বাপাউবো’র তথ্য মতে, গঙ্গার পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সিলেটের বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর,ফেঞ্চুগঞ্জ,বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদরে বন্যার পানি অপ্রত্যাশিত ভাবে বাড়িতে শুরু করেছে।বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।সেই সাথে পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন লাখো মানুষ।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উঁচু জায়গায় বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া হচ্ছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র।সেই সাথে সার্বক্ষণিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।