শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
পশু ডাক্তার কর্তৃক প্রসূতি সিজার; অতঃপর প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু

পশু ডাক্তার কর্তৃক প্রসূতি সিজার; অতঃপর প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক ◾নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রসূতিকে পশু ডাক্তার কর্তৃক সিজার করার ঘটনা ঘটে।এতে নবজাতক সহ প্রসূতির মৃত্যু হয়।এই ঘটনায় পশু ডাক্তার আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক জেল হাজতে পাঠান। বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক।তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে।

মৃত প্রসূতির স্বামী মহসিন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। অভিযুক্ত পশু চিকৎসক একই উপজেলার জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা।ওসি বলেন, রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।এর আগে উপজেলা প্রশাসন নিজ উদ্যোগে অভিযোগ ছাড়াই বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সন্ধ্যায় ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

গত বুধবার চন্দ্রপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে শরীফা আক্তার নামের প্রসূতির সিজার করলে নবজাতকসহ তিনি মারা যান। শরীফা বারহাট্টা সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর এলাকায় বিয়ে হয় তার। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলে ঈদের আগে গত সপ্তাহে চন্দ্রপুর বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে।পশু ডাক্তারের করা সিজারের পর নবজাতকসহ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শিহাব উদ্দিন। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকেও জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তার সনদপত্র দেখাতে বলা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।