শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে কানাইঘাটের লক্ষিপাশা পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা গ্রামে জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ শনিবার (১০ জুলাই) সকালে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাড়াবাল্লা গ্রামের মইনুদ্দিন লুকু ও সালেহা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তারা এক অপরের চাচাতো ভাই-বোন। বিরোধপূর্ণ জায়গায় একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন মইনুদ্দিন লুকু। শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে সালেহা বেগম একটি বাহিনী নিয়ে হামলা করে সেই টিনের ঘরটি ভেঙে ফেলেন।

ঘটনাটি স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দেন।কিন্তু উপস্থিত কোন লোক এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি।

ভিডিওতে দেখা যায়, সালেহা বেগম সহ ২ জন যুবতী,একজন নারী ও এক কিশোর মিলে দা এবং বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষের টিনের ঘরে হামলা করে। এসময় এলোপাতাড়ি কোপ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে টিনের ঘর ঝাঝরা করে দেন এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় ওই জায়গার বিভিন্ন ধরনের গাছ-পালাও কেটে ফেলেন এবং বিদ্যুৎ এর সংযোগ লাইন ছেড়ে দেন।

এ প্রসঙ্গে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার শেষ বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরই নদী পার হয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আজ (শনিবার) সকালে মইনুদ্দিন লুকু বাদি হয়ে সালেহা বেগমকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১।

সর্বশেষ কানাইঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার বিকেলে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ প্রধান আসামি ছালেহা সহ মোট ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছে।