শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
পাখি তাড়ানোর জন্য রাডার বসানো হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে

পাখি তাড়ানোর জন্য রাডার বসানো হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে

দর্পণ ডেস্ক : হযরত শাহজালালসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বার্ড হিট বা উড়োজাহাজে পাখির আঘাতের ঘটনা বেশ নিয়মিত। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও পাখি তাড়াতে নেই কোন আধুনিক ব্যবস্থা। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বিমান চালাতে হয় পাইলটদের। পাখি তাড়ানোর জন্য যে ছয়টি বন্দুক ছিল তার মধ্যে বর্তমানে চারটিই অচল।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের আশপাশে রয়েছে ছোট বড় জলাশয়। ফলে বছর জুড়েই বিমানবন্দর এলাকায় পাখির আনাগোনা থাকে; শীতকালে আরও বাড়ে পাখির আনাগোনা। প্রতিবছরই উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে পড়া বা শতাধিক বার্ড হিটের কারণে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় অনেক ফ্লাইট। গেল বছরও বাংলাদেশ বিমানের একটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ বার্ড হিটের কবলে পড়লে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয় তিন ঘণ্টা। পাইলটদের দক্ষতায় এ পর্যন্ত বড় কোন দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উড়োজাহাজ।

এ প্রসঙ্গে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এটি বিমান ওঠা বা নামার সময় হয়, তাই পাইলট সচেতন থাকলে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। আর তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেল বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

আর নভোএয়ারের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন আশফাক উর রহমান খান বলেন, বিমানের তো একটা গতি আছে। সেই গতির সঙ্গে যখন পাখির সংঘর্ষ হচ্ছে তা গতিটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এতে আমাদের মানুষের তেমন কোন ক্ষতি না হলেও সম্পদের ক্ষতি তো হচ্ছেই।

অথচ পাখি তাড়াতে শাহজালাল বিমানবন্দরে একমাত্র বন্দুকই সম্বল। ৮ জন বার্ড শ্যুটার থাকলেও ছয়টি বন্দুকের মধ্যে চারটি অচল থাকায় পাখি তাড়াতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান জানান, বন্দুক কিনতে হলে লাইসেন্সিং-এর ব্যাপার আছে। এগুলোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পেলে ৬টি বন্দুক কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।

অবশ্য বিমানবন্দরে পাখি নিয়ন্ত্রণে রাডারসহ আধুনিক পদ্ধতি স্থাপনের কথা বলছেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি জানান, এক ধরনের রাডার আছে, অ্যাকুস্টিক সাউন্ড দেবে ও রাডার দিয়ে স্ক্যান করবে; ওই ব্যবস্থা করতে কাজ চলছে।

নিরাপদে বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ নিশ্চিতে উন্নত দেশে সাধারণত লেজার রশ্মি, কেমিকেল, শব্দ তরঙ্গসহ বিভিন্নভাবে পাখি তাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।