শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ওসমানী হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা বন্ধ রাখার সুপারিশ

ওসমানী হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা বন্ধ রাখার সুপারিশ

দর্পণ ডেস্ক : কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে। এমনটি দাবি করে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতাল রেখে বাকিগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করার জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত ওই সুপারিশপত্রে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ দেশের আরো ১১ টি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরইমধ্যে একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে। এই সপ্তাহে আরও তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ২৭ অগাস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি চিঠি পাঠায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ)ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতাল রেখে বাকিগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।
কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকার পাঁচটি, চট্টগ্রামের ৬টি এবং সিলেটের একটি হাসপাতাল রয়েছে।

ঢাকার হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইটি, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভাটিয়ারি ফিল্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার। সিলেটের এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এর মধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে এ সংক্রান্ত কোনো টিঠি এখনো ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছাইনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে ওসমানী এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। তবে চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দেশে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের এপ্রিল মাসে বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি অনুযায়ী এসব হাসপাতাল কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসা দেবে। খরচ বহন করবে সরকার। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যার তুলনায় রোগীর উপস্থিতি ছিল অনেক কম।

এ বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান সিলেট আই নিউজকে বলেন, সিলেট ওসমানী হাসপাতালে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী না থাকায় যন্ত্রপাতি, সম্পদ ও জনবল অলস পড়ে থাকছে। ফলে এই সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিলেট আই নিউজকে তিনি বলেন, এ ধরনের হাসপাতালগুলো বন্ধের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।