বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্ত্রীর জবানবন্দি

স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্ত্রীর জবানবন্দি

নিউজ ডেস্ক :: ফেনীতে দুবাই প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলী (২৮) মঙ্গলবার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৭ ঘন্টা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালতে শিউলী বলেন, তার স্বামীর সাথে গত কিছু দিন থেকে অন্য মেয়ের সাথে পরকিয়া ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলে আসছিল। মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হত। গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) রাতে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার স্বামী সোহেল উত্তেজিত হয়ে তাকে উচ্চ স্বরে তালাক দেয়। এ সময় তালাকের কথা বলায় শিউলী নিজেও উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বাসায় থাকা দা দিয়ে স্বামীকে কোপানো হয়। এতে স্বামী মারা যায়। তখন তিনি তার ছোট দুটি সন্তান (এক ছেলে-৭ ও এক মেয়ে-৪) নিয়ে বের হয়ে যান।

উল্লেখ্য, দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী শহরের সুফি সদর উদ্দিন সড়কের নাজির রোডে একটি বাসায় কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলী । তারপর শিউলী দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রবাসী সোহেল খুনের ঘটনায় শক্রবার রাতে তার মা নিরালা বেগম বাদি হয়ে শিউলীকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাত ইউনিয়নের নারানকরা জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার পাশে তার চাচা ছুট্টু মিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তখন দুই শিশু সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বটিদাও উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সুত্র জানায়, নিহত সোহেল প্রায় ১২ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বসবাস করতেন। প্রায় ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। গত ১৬ জুলাই দুবাই প্রবাসী মো. সোহেল দেশে আসেন। এরপর থেকে সোহেলের সাথে তার স্ত্রী শিউলীর পরকিয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো।

স্ত্রী শিউলী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে এবং সোহেল একই উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।