পরদিন এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু মাওলানা আব্দুল মতিনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারছিলনা পুলিশ।
পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট রবিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের হাওর এলাকায় সাদা পোশাকে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুল মতিন ওই কিশোরীকে নিয়ে নৌকাযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।আর আব্দুল মতিনকে ১৬ আগস্ট সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।