মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কুমারছানা গ্রামের মৃত দরছ উদ্দিনের ছেলে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৬ সালে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।

১৩ আগস্ট সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান বলে জানান সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন।তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভোগছিলেন ঐ লোক।বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগেই তার মৃত্যু হয়।

কারা সূত্র জানায়, মুজিবুরকে গ্রেপ্তারের পর ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। চলতি বছরের ২৫ মে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

শুক্রবার বুকের ব্যথাসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকারী সার্জন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারাগার সূত্রে আরও জানা জানা যায়, মুজিবুর ছাড়াও তার আরো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দণ্ড দিয়েছেন ট্রাইবুনাল।এরমধ্যে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল।