ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য শুক্রবার (১৭ জুলাই) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকাল ২ টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে জন্তিপুর গ্রামের মৃত মুরাকিব আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ওই মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় রিয়াজ উদ্দিনসহ জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদ (২৫) ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ (২০) ও সিদ্দিক আলীর ছেলে গিয়াস আহমদ (২৭) এবং জন্তিপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাসরত তার ভাগ্না সুহেল উদ্দিন শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে থানায় এসে এমন অভিযোগ করলে কানাইঘাট থানার পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুহেল আহমদ ও ফয়ছল আহমদকে গ্রেফতার করে।

ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদি হয়ে থানায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাকে বিয়ে করার কথাও বলেছিলো রিয়াজ উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে রিয়াজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে।

এ বিষযে কানাইঘাট থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন মেয়েটির পিতা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করা হবে।