বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
গ্রামপুলিশ রউফ হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৯

গ্রামপুলিশ রউফ হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৯

নিউজ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর গ্রামপুলিশ আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ০২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৯।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে আব্দুর রউফ নামের এক ব্যক্তি খুন হন। সেই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৭মে অনুমান সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানাধীন হলহলিয়া চরগাঁও এলাকা হইতে আব্দুর রউফ হত্যা প্রধান আসামী আঃ হেকিম (৩০), পিতা- মলাই মিয়া, সাং-হলহলিয়া চরগাঁও এবং তার সহযোগী এলামুল হক শাবনুর (২৫), পিতা- হাফিজ উদ্দিন, সাং- বোরখড়া, উভয় থানা- তাহিরপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ এই দুজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আরেক সহযোগী সোহেল মিয়া (২৮), পিতা-আকবর আলী, সাং- হলহলিয়া চরগাও, থানা- তাহিরপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ (বর্তমানে পলাতক রয়েছে)।তারা তিনজন মিলে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল।

জানা যায় যে, গত ০৫ মে রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকা হইতে ১০.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত নিকটবর্তী হাওরের খোলা জায়গায় বসে আড্ডা দেয়। পরবর্তীতে রাত অনুমান ২ ঘাটিকার দিকে উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তি আটককৃত শাবনুর এর দাদার (সফদর আলী) খলা হইতে ধান চুরি করে নিজের ঘরে রাখে। পরবর্তীতে রাত অনুমান পৌনে ৩ ঘটিকার দিকে শাবনুর তার দুই সহযোগীকে বাড়িতে এগিয়ে দিতে রওয়ানা হয়। তখন সামান্য ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে তারা শাবনুর এর বাংলো ঘরের বারান্দায় কিছুক্ষন অবস্থান করে। সে সময় সোহেল মিয়া তাদের জানায় যে তার একটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারী দরকার। তখন আঃ হেকিম বলে,গ্রাম পুলিশ আঃ রউফের ঘরে একটি ব্যাটারী আছে সেটা তুই নিয়ে নে।আমাদের কিছু টাকা দিয়ে দিস।

অতঃপর রাত অনুমান ৩.৩০ ঘটিকার দিকে তারা তিনজন মিলে আঃ রউফের দরজা বিহীন বসত ঘরে প্রবেশ করে। আঃ হেকিম ব্যাটারী খুলে নিয়ে আসার সময় ভিকটিম আঃ রউফ সজাগ হয়ে পড়ে। সে চিৎকার করে তাদেরকে ঝাপটে ধরতে চাইলে সোহেল মিয়া তার হাতে থাকা চাকু দ্বারা আঃ রউফকে আঘাত করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপর আঃ হেকিম তার হাতে থাকা টিপ চাকু দ্বারা আঃ রউফকে আঘাত করলে তা তার বুকে বিদ্ধ হলে আঃ রউফ মাটিতে লুটে পড়ে। একই সময় শাবনুর তার হাতে থাকা চাকু দ্বারা আঃ রউফকে লক্ষ্যকরে আঘাত করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আঃ হেকিমের বাম হাতের কব্জির উপরে লেগে জখম হয়। বাড়ির লোকজনের চিৎকার চেচামেচিতে আঃ হেকিম কাধে ব্যাটারী নিয়ে দৌড় দেয়। পরবর্তীতে পলাতক আসামী সোহেল উক্ত ব্যাটারী নিয়া চলে যায়। সকাল বেলা থানা পুলিশ আঃ রউফের মরদেহ উদ্ধার করে।

পলাতক সোহেল মিয়াকে আটক করার জন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা দল তৎপর রয়েছে বলে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।