গ্রামের রাস্তায় কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে সিএনজির গতিরোধ করে শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ড্রাইভার ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর দিন ২৩ মার্চ (সোমবার) গোলাপগঞ্জ বাইপাসে সকাল-দুপুরের যেকোনে এক সময় শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চালু করা হয়। চালু করার ঠিক ৫ মিনিটের মাাথায় আবারো মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। শাহিন হত্যার ঘটনায় তদন্তে থাকা র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোন চালুর সূত্র ধরে অভিযানে নামেন। একেক সময় জায়গা পরির্বতনে আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭)কে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯।পরে সানির দেওয়া তথ্য থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার(১মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানার হাজীপুর শুকনা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-গোলাপগঞ্জের কায়স্তগ্রাম কুসুমবাগের জামাল হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন(২৪), মৃত তৈয়বুর রহমানের ছেলে  মাজেদুর রহমান (৩৭), মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ (২৬), মাহবুবুর রহমানের ফয়সলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) ।তাদের সবার বাড়ি হাজিপুর শুকনা এলাকায়।পরে আসামিদেরকে গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।