শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর হলেও বিচার নিয়ে হতাশা কাটছে না

কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর হলেও বিচার নিয়ে হতাশা কাটছে না

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : আজ ২৭ জানুয়ারি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর পূর্ণ হলো। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা এ হত্যান্ডের বিচার এখনো আলোর মুখ দেখছে না। সাক্ষী না আসা, আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় ঠিকমতো আদালতে হাজির না হতে পারাসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রিতায় পড়েছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা কাটছে না নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের মনে। ২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট পাঁচজন নিহত হন। এতে আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ ৪৩ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা রোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে। কিন্তু নানান কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। বিচার নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে নিহত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, হত্যা মামলায় তিনটি তদন্ত হয়েছে। একটির সঙ্গে অপরটির কোনো মিল নেই। আমরা প্রত্যেকবারই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছি। তদন্ত যেখানে সঠিক হয়নি, সেখানে সুষ্ঠু বিচারের আশা তো করা যায় না।

মামলার বাদী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মজিদ খান জানান, কখনো সাক্ষী না আসা, আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা বিভিন্ন মামলার আসামি থাকায় ঠিকমতো আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। এমন জটিলতায় মামলাটির সুরাহা হচ্ছে না। তবে এদেশের মাটিতে কিবরিয়া হত্যার বিচার একদিন হবেই।

মামলার আইনজীবী সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমেদ আবদাল বলেন, হত্যা মামলায় ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে ১২৮ জনই এখনো সাক্ষ্য দেওয়ার বাকি রয়েছেন। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। আশা করা যায় তারা দ্রুতই আসবেন। তবে এ মামলার রায় কবে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।