শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
কাজ না করেই ফলক স্থাপন ; বিয়ানীবাজার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কাজ না করেই ফলক স্থাপন ; বিয়ানীবাজার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

দর্পণ ডেস্ক : বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াভরা গ্রামে ব্যক্তি নির্মাণাধীন সড়কে গাইড ওয়ালের পাশে রাতের আঁধারে উন্নয়ন কাজের ভিত্তিফলক স্থাপন এবং প্রতিবাদের মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অপসারণের ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এলজিএসপি প্রকল্প-৩-এর অর্থায়নে গাড ওয়াল নির্মাণকাজ না করেই ভিত্তিফলক স্থাপন করে অভিনব কায়দায় সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার কৌশলের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

সাবেক ইউপি সদস্য সড়কে গাড ওয়াল নির্মাণে অর্থায়নকারী সাহাব উদ্দিন তেরা মিয়া অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গতকাল রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে শনিবার দুপুরে গ্রামবাসী কাজ বাস্তবায়ন না করে অন্যের বাস্তবায়িত কাজের স্থলে ফলক স্থাপন করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানান।

জানা যায়, গত শুক্রবার ভোরে খাড়াভরা গ্রামের পাকা সড়ক থেকে নিজ বাড়ির সড়কের সংযোগস্থলের গাড ওয়ালের পাশে উন্নয়ন ফলক দেখতে পান সাহাব উদ্দিন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুজন এন্টারপ্রাইজের উন্নয়ন ফলকে লেখা রয়েছে, ‘অর্থায়ন ২০১৯-২০ সন, বাস্তবায়ন ২০২০-২১ এবং খাড়াভরা সড়কের পিচ থেকে তেরা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত গাড ওয়াল নির্মাণ।’ এ ঘটনাটি সাহাব উদ্দিন তেরা তাৎক্ষণিক গ্রামবাসীকে জানালে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। শুক্রবার রাতে স্থাপন করা উন্নয়ন ফলকটি দেখতে শনিবার দুপুরে গ্রামের লোকজন জড়ো হন ঘটনাস্থলে। এ সময় গ্রামবাসীর সামনে ফলক ভেঙে নিয়ে যায় খাড়াভরা গ্রামের সুনুর মিয়ার ছেলে রহিম উদ্দিন।

অভিযোগকারী সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘গাড ওয়াল নির্মাণে আট লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কিন্তু শুক্রবার ভোরে হাঁটতে বের হয়ে দেখি সড়কের প্রবেশমুখে উন্নয়ন ফলক স্থাপন করা হয়েছে। টাকা ব্যয় করলাম আমি, আর ফলকে অর্থায়ন লেখা এলজিএসপি-৩ প্রকল্প।’ তিনি এ অভিনব প্রতারণার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাবি জানান।

গ্রামবাসি বলেন, ‘সরকারি টাকা আত্মসাৎ করতেই এ রকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বশীলরা। এ রকম দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।’

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সচিব দাবি করে ইউপি (সংরক্ষিত) সদস্য শেফা বেগম বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাকে সচিব রাখা হলেও আমি কিছুই জানি না।’শুধু জানি তেরা চাচা নিজের টাকা দিয়ে কাজ করেছেন।

দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আলাউদ্দিন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুজন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক সুজন আহমদ।তার বাড়ি কুড়ার বাজার ইউনিয়নের আংগাজুর গ্রামে। তিনি বলেন, তেরা মিয়ার মৌখিক আবেদনের কারনে পরিষদের সভায় এ কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, তেরা মিয়ার বাড়ির যাতায়াত রাস্তায় ভুলে উন্নয়ন ফলক স্থাপন করি।সে কারনে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে দিয়ে ফলকটি উঠিয়ে নিয়ে আসি।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মাহবুব বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।