বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
প্রকাশ্যে সিল মারার নির্দেশ আ’লীগের মেয়র প্রার্থীর

প্রকাশ্যে সিল মারার নির্দেশ আ’লীগের মেয়র প্রার্থীর

দর্পণ ডেস্ক : কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে তার পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারার নির্দেশ দিয়েছেন ভোটারদের।

৯ জানুয়ারি উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের মোশারফপুরে পৌর এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম।

ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হককে নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তা হলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না। আপনাদের মধ্যে যাতে দূরত্ব না বাড়ে।

ভোট আপনিও দিতে চেয়েছেন আরেকজনও দিতে চেয়েছে। এখন আরেকজন যদি ভেতরে ঢুকে ভোট দেয়, তা হলে মনে সন্দেহ দেখা দেবে। মনে হবে ও হয়তো নৌকায় ভোট দেয়নি।

তাই আপনারা সব ওপেন করে দেন। তা হলে আর একে অপরের প্রতি সন্দেহ থাকবে না। আপনারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভেতরে গিয়ে দেবেন আর মেয়র ভোট সরাসরি সামনে দেবেন।

১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হককে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট ভয়ের কোনো ব্যাপার না, আমি যদি ওপেন সিল মেরে দিই তা হলে কারও কিছু বলার নেই। সবাই নৌকায় সিল মেরে দেবেন প্রকাশ্যে, কোনো সমস্যা নাই, যেখানে সবাই একতরফা ভোট দেবে। সেখানে কেন আপনি সন্দেহের মধ্যে থাকবেন। তাই কাউন্সিলরের দুটি গোপন কক্ষে আর মেয়রের ভোটটি প্রকাশ্যে দেবেন, কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামুল হকের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা বারবার কেটে দেন।

পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী এনামুল হককে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের পরও কেন ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এ রিটার্নিং অফিসার।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।