শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
নবীগঞ্জে সরকারী গাছ কর্তন ; এখনো হয়নি মামলা

নবীগঞ্জে সরকারী গাছ কর্তন ; এখনো হয়নি মামলা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার-শতক সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকের আশপাশ থেকে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কর্তনের ঘটনায় এখনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অপরাধী দায় স্বীকার করলেও পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী। তারা একে অন্যের ওপর দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন। প্রশাসনের দুটি বিভাগের পৃথক তদন্ত নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তদন্ত প্রতিবেদনে মিলেছে নানা গড়মিল।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কার্যসহকারীর পৃথক তদন্তে একটির সাথে অন্যটির নেই কোনো মিল। এটাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এনিয়ে উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায়ও তুমুল আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জানা যায়- গত (২৮অক্টোবর) বুধবার সকাল থেকে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার-শতক সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকের আশপাশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করা হয়। সরকারি গাছ কাটার অভিযোগের তীর উঠে স্থানীয় বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল ও ইউপি সদস্য আব্দুল আলীর বিরুদ্ধে। ওইদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন গাছ কাটার বিষয়ে পানিউমদা ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মহসিন ভুইয়াকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে তদন্ত করেন পানিউমদা ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মহসিন ভুইয়া। পরে (২৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবদন দাখিল করেন তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন- উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার-শতক সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে এল.জি.ই.ডির রাস্তার পাশ থেকে কয়েকটি একাশি গাছ কর্তন করা হয়। গাছ কাটায় নিয়জিত শ্রমিকরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন- গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল ও ইউপি সদস্য আব্দুল আলীর নির্দেশে গাছ কর্তন করেছেন শ্রমিকরা।

গাছ কর্তনের বিষয়ে অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল তদন্তকারী কর্মকর্তাকে গাছ কর্তনের দায় স্বীকার করে জানান- তিনি গাছ কাটিয়েছেন। ভুলবশত কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।