শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বেসরকারি হাসপাতালেও নির্ধারণ হবে চিকিৎসার মূল্য

বেসরকারি হাসপাতালেও নির্ধারণ হবে চিকিৎসার মূল্য

দর্পণ ডেস্ক : সরকারি হাসপাতালগুলোর মতো বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসাসেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে। শিগগিরই এটি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, `বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। এতে অনেক ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আমরা চাই না এগুলো নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হোক।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে `করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও নতুন স্ট্রেইন ছড়ানো রোধ’ সংক্রান্ত এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চিকিৎসার ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। সব হাসপাতালের ফি একরকম হবে না। হাসপাতালের মান ও সেবা অনুযায়ী চার্জ ভিন্ন হবে।

তিনি বলেন, `মন্ত্রণালয় থেকে কিছুদিনের মধ্যে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, `ভ্যাকসিনেশনে আমরা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকেও সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মবিন খানের সাথেও এ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিধিবিধান রয়েছে। সেগুলো অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ভ্যাকসিন আমদানিতে যুক্ত করা হবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। মৃত্যুর হারও কম। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই। শুরুতে করোনার চিকিৎসাপদ্ধতি জানা ছিল না। সেসময় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। চিকিৎসকরা অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’

‘করোনায় আমেরিকা ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। ৮০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিনে ভালো হয়েছে। দুই হাজার ডাক্তার ও ১৫০০ নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে স্বল্প সময়ে।’

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।