শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বাধাবিপত্তি পেরিয়ে যেভাবে পদ্মার সেতু সমাপ্তির পথে

বাধাবিপত্তি পেরিয়ে যেভাবে পদ্মার সেতু সমাপ্তির পথে

পদ্মা সেতু

দর্পণ ডেস্ক : কাঠখড়, ঘাত-প্রতিঘাত, গুজব, আরও কত বাধা- সব পেরিয়ে প্রমত্ত পদ্মার বুকে গৌবের প্রতীক হয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু।

এই নদীতে সেতু তৈরির স্বপ্ন স্বাধীনতার পরপরই। তবে সে সময়ের বঙ্গবন্ধু সরকারের আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। তাকে হত্যার পর একেবারেই ধামাচাপা পড়ে যায় স্বপ্ন।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইশতেহারে সেতুটি নির্মাণের অঙ্গীকার করে আওয়ামী লীগ।
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তিতে সই করছেন বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি

২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পর শুরু হয় সেতু তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা। শুরুতে দাতাদের অর্থে সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হলেও বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পর নানা নাটকীয়তা শেষে নিজ অর্থে সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।

সেতু তৈরির কাজ পায় চায়না মেজর ব্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের ১৭ জুন তাদের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।

পাশাপাশি সিনো হাইড্রো করপোরেশনকে দেয়া হয় নদী শাসনের কাজ। দেশীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কসহ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট নির্মাণ কাজ তদারক করছে।

২০১৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি আনা শুরু করে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরে সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যদিও মূল সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয় ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর পাঁচ বছরের মাথায় সেতুর সবকটি স্প্যান যুক্ত হলো। আর এর মধ্য দিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো সেতুটাই দৃশ্যমান হলো। বাকি উপরের রোড স্ল্যাব আর নিচে রেল লাইন বসানোর কাজ। সেই কাজ শেষ করে আগামী বছর সেতুটি চালু করার বিষয়ে আশাবাদী সরকার। এখন কেবল সেই সময়ের অপেক্ষা।

পদ্মা সেতুর ধারাক্রম

২০০৯ সালের ১৯ জুন সেতুর নকশা প্রণয়নের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। এরপর ২৯ জুন পরামর্শকের সঙ্গে চুক্তি হয়। পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৩ সালের মধ্যে শেষ করার সময় নির্ধারণও করা হয় সে সময়।

২০১০ সালে প্রিকোয়ালিফিকেশন দরপত্র আহ্বান করা হয়। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখায় বিশ্বব্যাংক। সেই সঙ্গে সহযোগী হতে চায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিপি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাইকা।

২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়। পদ্মা নদীতে ‘ভাষা শহীদ বরকত’ নামের ফেরিতে এই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া আর বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টাইন। বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে কোনো একক প্রকল্পে এটাই হতো সবচেয়ে বড় ঋণ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সেদিন জানান, ওই বছরের শেষ দিকে সেতুর কাজ শুরু হবে। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তিন বছর সময় দেয়া হবে। অর্থাৎ সেতুর কাজ শেষ হবে ২০১৫ সালের আগেই।

একই প্রকল্পে ২০১১ সালের ১৮ মে জাইকার সঙ্গে, ২৪ মে আইডিবির সঙ্গে এবং ৬ জুন এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়। এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি ও আইডিবি ১৪ কোটি ডলার দেবে বলে ঠিক হয়।

কিন্তু বিশ্বব্যাংক উড়ো কথার ভিত্তিতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পর শুরু হয় টানাপড়েন। সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, কানাডার প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিন কাজ পেতে বাংলাদেশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার শুরু থেকেই এই অভিযোগ নাকচ করলেও বিশ্বব্যাংক চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১১ সালে ঋণচুক্তি স্থগিত করে।

পরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু বিশ্বব্যাংক চাপ দিতে থাক সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আসামি করতে।

সরকারি রাজি না হওয়ার পর ২০১২ সালের ৩০ জুলাই ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। পরে চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ায় সরে যায় এডিবি, জাইকা ও আইডিবি।

নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের ঘোষণা

২০১২ সালের ১০ জুলাই নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রথম কখা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি বলেন, নিজ অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।

২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে সরকারপ্রধানের ঘোষণার পর নিশ্চিত হয়ে যায়, দাতাদের চ্যালেঞ্জ করেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এই ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে অনুদান যোগ হতে থাকে সরকারি তহবিলে। এমনকি টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সেতু তহবিলে টাকা দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান না দিতে বলা হয়।

নির্মাণ উদ্বোধন করে যা বলেন প্রধানমন্ত্রী

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ উদ্বোধন করেন তিনি।

সেদিন জনসভায় বিশ্বব্যাংকের টালবাহানা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ আনে।…আমি বলি, দুর্নীতির প্রমাণ দিতে হবে। কারণ তখনও টাকা ছাড় হয়নি। আজ পর্যন্ত তারা প্রমাণ করতে পারে নাই যে এখানে দুর্নীতি হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, আমরা পারি, আমরা তা দেখাব।… আজ আমরা সেই দিনটিতে এসে পৌঁছেছি।’

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনুদান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে চেক দিয়েছিল। অনেকে অর্থ দিয়েছিল। এই যে সাহস, এই যে সহযোগিতা- এটাই আমাকে সাহস দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকের ধারণা ছিল, কোনো কাজ করতে হলে কারও কাছে হাত পাততে হবে। এই মানসিকতা আমাদের পেয়ে বসেছিল। অন্যের সাহায্য ছাড়া কিছু করতে পারব না। অমুককে ধরেন- টাকা পাব… অমুককে অনুরোধ করেন- টাকা পাব।’

বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ গালগপ্প বলল কানাডার আদালত

সেতুর কাজ শুরুর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কানাডার আদালত রায় দেয় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ বায়বীয়, গালগপ্প। বাংলাদেশের পাশাপাশি সে দেশেও একই অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক। এসএনসি লাভালিনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে তারা।

কিন্তু বাংলাদেশের মতো কানাডা আদালতেও কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। পরে বিচারক দাতা সংস্থাটির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে।

সে সময়ে কানাডার পত্রিকা টরেন্টো স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রায়ের আদেশে বিচারক লেখেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, তা জল্পনা, গুজব আর জনশ্রুতি ছাড়া কিছুই না। কানাডার সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক ইয়ান নর্দেইমার এ রায় দেন।

কানাডা আদালতের রায় আসার পরেই সরকার বিরোধীরা চুপসে যায়।

মাটির গঠনজনিত জটিলতা

সেতুর ৪১টি পিলারের মধ্যে ১৪টির নকশা পাল্টাতে হয়েছে মাটির নিচে গঠন সমস্যায়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয় বিরাট এক সমস্যা। নদীর তলদেশের একাংশে মাটি নরম পাওয়া যায়। পিলারের জন্য ঢালাই দেয়া হলে সেগুলো থাকছিল না।

পিলারগুলো নির্মাণের কথা ছিল ৯৬ থেকে ১২৮ মিটার গভীর পাইলের ওপর। কিন্তু পানির তলদেশে মাটির স্তর দুর্বল হওয়ায় সংশোধন করা ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের পাইল নির্মাণের সময় তা দেবে যায়।

পরে এই দুটি ছাড়াও ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিলারের নকশা পাল্টাতে হয়।

সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাউই (COWI) ইউকে লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করেন।

তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, কাদামাটির পরই শক্ত মাটি না পাওয়ায় পদ্মা সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে পাইলের সংখ্যা একটি করে বাড়ানো হয়। অন্যদিকে এসব পিলারে খাঁচ কাটা পাইল বসিয়ে বিশেষ ধরনের সিমেন্টের মিশ্রণে নরম মাটি শক্ত করা হয়।

এই জটিলতার অবসানের পর ২০১৯ সালের শুরুতে আবার নির্মাণ হয় পিলার। শুরু হয় কাজ।

প্রথম থেকে ৪১ স্প্যান

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতু।

বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ, পরে দাতাদের বাদ দিয়ে সরকারের নিজ অর্থে সেতু করা, রাজনৈতিক বাদানুবাদ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগসহ নানা কারণে এই সেতুর প্রতিটি স্প্যানই খবর হয়ে এসেছে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে।

দেশবাসীর মধ্যেও সেতুটি নিয়ে আগ্রহ প্রবল। স্বভাবতই যখন শেষ কয়েকটি স্প্যান বসানো হয়, সেতু নিয়ে আগ্রহ ততই বাড়তে থাকে।

গত ৪ ডিসেম্বর যেদিন ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৪০তমটি বসানো হয়, সেদিন নিউজবাংলার বহুল পঠিত সংবাদটিই ছিল আর একটি স্প্যান বসলেই পদ্মাসেতু।

শুরুর দিকে স্প্যান বসাতে সময় লেগেছে বেশি। এক কিলোমিটার দৃশ্যমান হতে সময় লেগেছে দেড় বছর। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর এক কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়।

ওই বছরের ২৯ জুন ১৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর দুই কিলোমিটারের কিছু বেশি দৃশ্যমান হয়।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ২০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর তিন কিলোমিটার।

চলতি বছর সেতুর কাজ আরও দ্রুত গতিতে আগায়। গত ২৮ মার্চ ২৭তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর চার কিলোমিটারের কিছু বেশি।

তবে অক্টোবর থেকে সেতুর কাজে আবার গতি আসে। তখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই একটি করে স্প্যান বসানো হতে থাকে। গত ২৫ অক্টোবর ৩৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়।

৪ ডিসেম্বর ৪০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। আর ছয় দিনের মাথায় বসানো হলো শেষ স্প্যানটি। এর আগে এত কম সময়ে বসেনি কোনো স্প্যান।

আর কত দিন?

সেতুর পাইলিং উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে চান তারা। কিন্তু নানা জটিলতায় তা হয়নি।

এর মধ্যে শেষ স্প্যান বসার অপেক্ষা যখন শেষ, তখন কবে যান চলাচলের জন্য সেতুটি পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে- সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে জিজ্ঞাসা।

কারণ স্প্যান বসিয়েই সেতুর সব কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কর্মযজ্ঞের এখনও অনেক বাকি।

পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোতে থাকছে কংক্রিট ও স্টিল। সেতুর উপরের অংশে তৈরি হচ্ছে সড়ক পথ। সেতুর সড়ক তৈরির কাজে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯২৭টি রোড স্ল্যাব। গত শুক্রবার শেষ স্প্যানের আগেরটি বসানোর দিন অবধি বসানো হয় এক হাজার দুইশটির বেশি স্ল্যাব।

থেমে নেই নিচ তলায় রেলপথ নির্মাণ কাজ। সেতুর নিচ তলায় দেখা যায়, লোহার রডের কাঠামো তৈরি করে দেয়া হয়েছে কংক্রিটের ঢালাই। সেগুলো ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

গত ৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ মাস থেকে এক বছর লাগবে। লাস্ট স্প্যান ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বসবে বলে আমরা আশাবাদী। সেতুতে ঢালাইয়ের কাজ, সড়কের জন্য প্রস্তুত করা, রেলের জন্য প্রস্তুত করার কাজ বাকি আছে।

‘এটা ডাবল ডেকার সেতু। ইটস অ্যা ইউনিক ব্রিজ ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। এখানে রেলও চলবে, সড়কের যানবাহনও চলবে। কাজে ওটাকে সেভাবেই তো তৈরি করতে হবে। ইট উইল টেক টাইম।’

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।