শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সিলেটের রায়হান হত্যা ; বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেনি, অতিরিক্ত আঘাতেই মৃত্যু

সিলেটের রায়হান হত্যা ; বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেনি, অতিরিক্ত আঘাতেই মৃত্যু

দর্পণ ডেস্ক : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মৃত্যু অতিরক্ত আঘাতেই হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্টে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্ট ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে আমাদের কাছে এসেছে। এতে বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই কর্মকর্তাদের কাছে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে।

১১ অক্টোবর রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্টে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। এবার ভিসেরা রিপোর্টেও তার সত্যতা পাওয়া গেল। পিবিআই’র পুলিশ সুপার খালেদ উজ্জামান বলেন, রিপোর্টে মার্ডার কথাটি উল্লেখ আছে। নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ভিসেরা রিপোর্ট সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে আসার পর শনিবার পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। প্রথম ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টটি হাতে পেয়েছেন উল্লেখ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আওলাদা হোসেন জানিয়েছেন, রিপোর্ট অনুযায়ী অতিরিক্ত আঘাতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর গত ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। ওইদিন রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার। ১১ অক্টোবর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। আইন অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় ১৫ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তলন করে ২য় দফায় আবার রায়হানের ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রথম ময়নাতদেন্তর পর এবার ভিসেরা রিপোর্ট শনিবার হাতে পেল পিআইবি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।