শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
শ্রীমঙ্গলে বাইক্কাবিল রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

শ্রীমঙ্গলে বাইক্কাবিল রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

দর্পণ ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুণা-হাজীপুর গ্রামের বাইক্কাবিল রাস্তার প্রায় ২ কিলোমিটার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজে অনিয়ম হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজটি করা হচ্ছে।

অভিযোগে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর বাজার দিয়ে বাইক্কাবিল সড়কের ১৮০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ পায় শ্রীমঙ্গলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেবাংশু এন্টারপ্রাইজ। কাজটি পাওয়ার পর ঠিকাদার এক্সাভেটর (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে খোড়ে বের হওয়া কংক্রিট দিয়ে রাস্তার মেকাডম করা হয়। তখন রাস্তার দুইপাশে সমানভাবে ইট না লাগিয়ে কিছুদূর পরপর ইটের গাঁথুনি দেয়া হয়।

চলতি নভেম্বর মাসে কাজ শেষ করার কথা। গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে তড়িঘড়ি করে রাস্তা ঢালাইর কাজ শুরু হয়। এলজিইডি থেকে পাওয়া ওয়ার্ক ওয়ার্ডারে এক ইঞ্চি পরিমান ঢালাই কাজ করার কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি,এই রাস্তা দিয়ে শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী বাইক্কাবিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত মানুষ প্রতিদিন আসা যাওয়া করেন।

এছাড়া হাইল-হাওরে বহু সংখ্যক মৎস খামার গড়ে উঠেছে। রাতদিন মাছ বহনকারী গাড়িসহ বরুনা-হাজীপুর গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এই রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ভালো না হলে সহজেই তা ভেঙে যাবে এতে সকলকেরই ভোগান্তিতে হবে।

এ ব্যাপারে বরুণা গ্রামের রশিদ আহমদ বলেন, হাজার হাজার মানুষ ও শতশত ছোট-বড় গাড়ি এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে খুব নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এক ইঞ্চি কার্পেটিং এর কথা থাকালেও কোন স্থানে হাফ ইঞ্চি কোন স্থানে সোয়া ইঞ্চি কাজ করা হচ্ছে। এতে রাস্তাটি খুব অল্পদিনেই ভেঙে যাবে।

হাজীপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান সেফু বলেন, জনবহুল এ রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করার জন্য এলাকার মানুষ দাবি জানালেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেবাংশু এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারি দেবাংশু জানান, এলাকার লোকজন অভিযোগ করছে কিন্তু উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তদারকি করছে। যদি কোন ত্রুটি পাওয়া যায় অবশ্যই আমি করে দিতে বাধ্য।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী সঞ্জয় মোহন সরকার বলেন, অভিযোগের কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে আছে। তারপরও আমরা বিষয়ের গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অনিয়ম হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।