শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পিটুনি ; প্রতিবন্ধী কিশোরীর ভেঙে যাওয়া পা কাটতে হবে

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পিটুনি ; প্রতিবন্ধী কিশোরীর ভেঙে যাওয়া পা কাটতে হবে

দর্পণ ডেস্ক : এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে বখাটেরা। ময়মনসিংহের ভালুকার এ ঘটনায় মামলার কয়েকদিন পর আগাম জামিন নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার বারবাড়ীয়া ইউপির পাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাবা চার বখাটেকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় মামলা করেন।

আসামিরা হলেন- উপজেলার বারবাড়ীয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন হেলির ছেলে সোহাগ, চিলাকান্দা গ্রামের মকবুল মিলিটারির ছেলে বিপ্লব, আব্দুল মতিনের ছেলে নাজমুল এবং আজিজুল হকের ছেলে বাবু মিয়া।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমার মেয়ে নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তায় সোহাগ তাকে একা পেয়ে নানার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রিকশায় তুলে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা বিপ্লব, নাজমুল ও বাবু জোড় করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে তারা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয় এবং সারা শরীর রক্তাক্ত জখম করে।

তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখান থেকে পরবর্তীতে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা করানোর পর তার পায়ে ইনফেকশন ধরা পড়ে। তার পা কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ওই কিশোরীর বাবা আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার কয়েকদিন পরই আসামিরা আগাম জামিন নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। তারা মামলা তুলে নিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার সময় আমি প্রথমে উল্লেখ করেছিলাম, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আমার মেয়েকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। পরে ওসি সাহেব ওই অভিযোগ পাল্টে শুধু পিটিয়েছে এমন অভিযোগে মামলা রুজু করেন। আমি তখন প্রতিবাদ করলে ওসি সাহেব বলেন, ওইদিন ধর্ষণচেষ্টার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তবে অভিযোগ পাল্টে দেয়ার কথা অস্বীকার করে গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়ার বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার থানায় জানায়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।