বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
দক্ষিণ সুরমায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় নিহত কিশোর

দক্ষিণ সুরমায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় নিহত কিশোর

দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় জহিরুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) তার মৃত্যু হয়।

নিহত জহিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার সিরাই গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে পরিবার নিয়ে কদমতলী জেসমিন ভিলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিল। গত ২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। সে পেশায় রং মিস্ত্রির কাজ করত।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে জৈনপুর হাওরের বাড়ী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফখরুল নিহত জহিরুল ইসলামকে তার সাথে খুঁচরা মাদক ব্যবসায় জড়িত হতে বলে। তখন নিহত জহিরুল ইসলাম ফখরুলকে জানায় আমি এই ব্যবসা করব কেন, আমি রং মিস্ত্রির কাজ করি। আমি এইসব করতে পারব না। পরবর্তীতে এই ঘটনাটি নিহত জহিরুল ইসলাম তার পিতা-মাতাকে জানায়। তখন নিহত জহিরুল ইসলামের পিতা-মাতা জহিরকে এই ব্যবসা করতে নিষেধ করে। কিশোর জহিরুল ইসলাম এই কথাটি জনৈক ব্যক্তির সাথে আলাপ করলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জানতে পেরে জহিরুলে উপর ক্ষেপে যায়।

গত ২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় জহিরুল বাসা থেকে পূজার অনুষ্ঠান দেখতে বের হলে শিববাড়ী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ফখরুলের সাথে দেখা হয়। এসময় ফখরুলের সঙ্গে চান্দাই তালুকদার পাাড়ার জায়েদ, জৈনপুর ইছমাইল মিয়ার ভাড়াটিয়া উজ্জল, ফখরুলের সম্বন্দি মাসুকসহ আরও কয়েকজন মাদকের ব্যবসায়ী ফখরুলের মাদক ব্যবসার কথা অন্যকে জানানোর জের ধরে জহিরুলের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ফখরুল তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে জহিরকে জৈনপুর হাওর বাড়ী এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে জহিরুলের শরীরে ইট, পাথর দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখমপ্রাপ্ত করে রেল লাইনের উপর ফেলে দেয়।

এসময় পথচারীদের আনাগোনা টের পেয়ে ফখরুল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় পথচারীরা ও শিববাড়ী মন্দিরের টহলরহ পুলিশ সদস্যরা আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আখতার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাস্থলের নাম শুনে মোগলাবাজার থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। পরে মোগলাবাজার থানার ওসি ছাহাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।