শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্নীতির অভিযোগে

প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্নীতির অভিযোগে

দর্পণ ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কে, এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধানশিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা, আর্থিক দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কুল প্রদেয় ভাতাদি গত ২০ মাস ধরে স্থগিত রাখার অভিযোগ করেন তারা। বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ ২০ জন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ২২টি অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান ২০ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র পাঠ করে সাংবাদিকদের শোনান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধানশিক্ষক অবসরে গেলে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি খামখেয়ালিভাবে পরিচালনা করে আসছেন। শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। গত ২০ মাস ধরে শিক্ষকদের স্কুল প্রদেয় বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে রেখেছেন। বর্তমানে করোনাকালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদানের দুই লাখ টাকা, ওই বছর একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা চলতি বছর বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন প্রকাশ বাবদ ৩ লাখ ২১ হাজার টাকার ভুয়া বিল ভাউচারসহ বিদ্যালয় ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের অর্থে নির্মিত কে এম লতীফ সুপার মার্কেটে ৬৫০টি দোকান রয়েছে। ওই দোকান বরাদ্দ বাবদ স্টল প্রতি ২ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য আয়সহ বিদ্যালয়ের ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শূন্যের কোটায়।

বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে  বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদার, বর্তমান সহকারী শিক্ষক মো. নুর হোসেন ও মো. এনামুল হক।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্থাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সকল খরচের বিল ভাউচার সংরক্ষিত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।