বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সুনামগঞ্জে বিয়েপাগল লন্ডন প্রবাসী ৫ বিয়ে করে ধরা খেল

সুনামগঞ্জে বিয়েপাগল লন্ডন প্রবাসী ৫ বিয়ে করে ধরা খেল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : নানা রকম নেশার মাঝে বিয়ের নেশায় পাগল এক লন্ডন প্রবাসীর খোঁজ পাওয়া গেল সুনামগঞ্জে। লাল পাসপোর্টের লোভ দেখিয়ে সুন্দরী নারীদের আকৃষ্ট করেন তিনি। পরেই কাবিন করে সেরে ফেলেন বিয়ে। বিয়ের পরই তার খোলস পাল্টে ফেলেন। চলে যান লন্ডনে। এর মাঝে স্ত্রীদের নেন না কোনো খোঁজখবর। একুল-ওকুল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তখন নারীরা। আর লন্ডন যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।
এই ব্যক্তির বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবনগর গ্রামে। বিয়েপাগল সেই মৃত উলফত উল্লার ছেলে লন্ডন প্রবাসী মকবুল হোসেন সর্বশেষ বিয়ে করেন সুনামগঞ্জ শহরের এক নারীকে। এর আগে তিনি আরও চারটি বিয়ে করেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ শহরের নারীকে তিনি কাবিননামায় প্রথম স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। নারীও জানত না তিনি আরও চারটি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পরই ধরা পরে তার শঠতা।
উপায় না পেয়ে শহরের সেই মেয়েটি সুনামগঞ্জ আদালতে বিচারপ্রার্থী হন। আদালতে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে সাজা প্রদান ও জরিমানা প্রদান করা হয়। বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
এ প্রতিবেদকের কাছে অসহায় নারী তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখে বাদীকে তার বাড়িতে রেখে বিবাদী মকবুল হোসেন পরের দিন ১০ তারিখে লন্ডনে চলে যান। লন্ডনে যাওয়ার পর বিবাদী বাদীর কোনো ভরণপোষণ দেন নাই এমনকি কোনো খোঁজখবরও নেন নাই। বাদী অনেক চেষ্টা করে বিবাদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে বাদীর পিত্রালয়ে আসেন এবং রাতযাপন করেন। তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে না দিতে পারায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন লন্ডনের লোভ দেখিয়ে নিরীহ মেয়েদের বিয়ে করে জীবন তছনছ করে দিচ্ছেন এভাবেই। এর আগে তার পূর্বের আরেক স্ত্রী জগন্নাথপুর পারিবারিক আদালতে মোকদ্দমা করে ডিক্রিপ্রাপ্ত হয়েছেন। এভাবেই তিনি চারটি বিয়ে করে সংসার ভেঙেছেন।
এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, লন্ডন প্রবাসী মকবুল হোসেন লোভ দেখিয়ে বিয়ের নামে ভোগ করছেন। কোনো সংসারেই তার স্থায়ী হয়ে উঠেনি। প্রয়োজন মিঠে গেলেই তালাকের ফন্দি আঁটেন। লোকলজ্জায় স্ত্রী অনেকেই অসহায় হয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে নারাজ। নীরবেই সংসার ছেদ করে ফেলেন। মকবুল হোসেন এলাকায় এখন বিয়েপাগল লন্ডনপ্রবাসী হিসেবে পরিচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।