বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বিশ্বনাথে ইমাম কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণ; মোয়াজ্জিন সহ আটক ২

বিশ্বনাথে ইমাম কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণ; মোয়াজ্জিন সহ আটক ২

দর্পণ ডেস্ক : বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের নতুন জামে মসজিদের ইমাম ও জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রুহুল আমিন শাহার (৩৫) কর্তৃক একটি অসহায় পরিবারের স্বল্প বাকপ্রতিবন্ধি ও সহজ প্রকৃতির ১৬ বছর বয়সী এতিম কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইসলামপুর গ্রামের একটি বাড়িতে এ ঘটনাট ঘটে।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আবদুস শহিদের বাড়িতে লজিং থেকে লেখাপড়া শেষে কৌড়িয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি ও ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন রুহুল আমিন শাহার (৩৫)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

ভিকটিম এই বাড়ির একটি পরিবারে প্রায় দু’বছর ধরে কাজ করে।রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধরে নিয়ে তার শোয়ার ঘরে জোপূর্বক ধর্ষণ করে রুহুল আমিন শাহার।বৃহস্পতিবার (১অক্টোবর) এ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে ইসলামপুর গ্রামের নতুন জামে মসজিদের ইমাম ও জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রুহুল আমিন শাহারকে প্রধান আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার বড় বোন। মামলা নং ০১ (তাং০১.১০.২০ইং)। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা মিমাংসার কথা বলে কৌশলে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় ওই মামলায় আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়।অন্যান্য আসামিরা হলেন- খাজাঞ্চী ইউনিয়ন ইসলামপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী (৬৩), চান্দ আলী (৫৫), লিয়াকত আলী (৫০), আবদুস শহিদ (৫২), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের পুত্র মাহফুজ বিন আরিফ (১৯)। মামলায় অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৪/৫জনকে।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি ইসলামপুর গ্রামের মাতব্বর মখদ্দছ আলী ও মসজিদের মোয়াজ্জিন মাহফুজ-বিন-আরিফকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা দায়ের ও দু’জন আসামী গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, প্রধান আসামিসহ সকল আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আর ভিকটিম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।