শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : বাহন সামনে বেঁধে নামাজ পড়া
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) তাঁর উটনিকে সামনে রেখে নামাজ আদায় করতেন। [বর্ণনাকারী নাফি (রহ.) বলেন] আমি [আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) কে] জিজ্ঞেস করলাম, যখন বাহন নড়াচড়া করত তখন (তিনি কী করতেন?)। তিনি বলেন, তিনি তখন হাওদা নিয়ে সোজা করে নিজের সামনে রাখতেন, আর তার শেষাংশের দিকে নামাজ আদায় করতেন। [নাফি (রহ.) বলেন] ইবনে উমার (রা.)-ও তা করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫০৭)
নামাজের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা
বুসর ইবনে সাঈদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, জায়দ ইবনে খালিদ (রা.) তাঁকে আবু জুহায়ম (রা.)-এর কাছে পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর সম্পর্কে তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.) থেকে কী শুনেছেন। তখন আবু জুহায়ম (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত এটা কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত। (বুখারি, হাদিস : ৫১০)
কাউকে সামনে রেখে নামাজ পড়া
আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) নামাজ আদায় করতেন আর আমি তখন তাঁর বিছানায় আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। বিতর পড়ার সময় তিনি আমাকেও জাগাতেন, তখন আমিও বিতর পড়তাম। (বুখারি, হাদিস : ৫১২)। নবী (সা.)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সামনে শুয়ে থাকতাম আর আমার পা দুটো থাকত তাঁর কিবলার দিকে। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন আমাকে টোকা দিতেন, আর আমি পা সরিয়ে নিতাম। তিনি দাঁড়িয়ে গেলে পুনরায় পা দুটো প্রসারিত করে দিতাম। আয়েশা (রা.) বলেন, তখন ঘরে কোনো বাতি ছিল না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৩)। মাইমুনা বিনতু হারিস (রা.) বলেন, আমার বিছানা নবী (সা.)-এর মুসল্লা বরাবর ছিল। আর আমি আমার বিছানায় থাকা অবস্থায় কোনো কোনো সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ে এসে পড়ত। (বুখারি, হাদিস : ৫১৭
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।