বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সিলেট এমসি কলেজের ধর্ষণ ধামাচাপার চেষ্টা, ৩সদস্য কমিটি গঠন

সিলেট এমসি কলেজের ধর্ষণ ধামাচাপার চেষ্টা, ৩সদস্য কমিটি গঠন

দর্পণ ডেস্ক : এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এই ঘটনায় সমঝোতায় বসলেও পরে পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। এদিকে, একই ঘটনা তদন্তের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এর আগে দায়িত্বে অবহেলার জন্য ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে চাকুরী থেকে বরখাস্থ করা হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আপোষে মীমাংসারও চেষ্টা চালান তারা। প্রথমদিকে পুলিশও বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে এড়িয়ে যায়। পরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বিফলে যায়। তবে আসামীদের রক্ষা করার মিশন সফল হয় সমঝোতায় আসা নেতাদের। কারণ সমঝোতায় দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের কারণে ঘটনাস্থল থেকে এই সময়ের মধ্যে আসামীরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়।

তবে মীমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি সিলেট আই নিউজকে জানান, ছাত্রাবাসে এক দম্পতিকে আটকে রাখা হয়েছে-এমন খবর পেয়েই ছাত্রাবাসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের মাধ্যমে ওই দম্পত্তিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে রাতেই ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় শাহপরাণ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার একটিতে ধর্ষিতার স্বামী ছাত্রলীগের ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৩ জনসহ মোট ৯ জনকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে গণধর্ষণের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিক্রম হলেও এখ নপর্যন্ত কোনো আসামীকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে, শনিবার কলেজ অধ্যক্ষ জানিয়েছেন ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শাহিন বলেন, দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে বরখাস্থ করণের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দায়হীনতাকে নীচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রাবাসা পুড়ানোর ঘটনাতেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তা থেকে লাভ কিংবা দৃষ্ঠান্তমূলক কিছু পাওয়া যায়নি। বরং দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বিচার হীনতার সংস্কৃতি। তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির বাহিরে বিভাগীয় পর্যায় এমনকি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা অত্যাবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।