গত প্রায় দুই বছরে সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক বিরোধ সালিশে নিষ্পত্তি করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা।
দিনরাত তিনি বিভিন্ন স্থানে চষে বেড়ান মানুষের বিরোধ খোঁজে। স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশ, বিট পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মুরব্বিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তাদের মাধ্যমে বিরোধীয় পক্ষগুলোকে খুঁজে বের করে সালিশের আয়োজন করা হয়।
জানাযায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং রিচি ইউনিয়নের কালনী গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার আঃ রাজ্জাক গংদের সাথে একই গ্রামের কাজী জিতু মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে । এতে বিভিন্ন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বহুবার,
সাথে ফৌজদারি মামলা মোকদ্দমার জামেলায় পড়ে উভয় পক্ষই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তারই মধ্যে গত কয়েক মাস আগে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমান মেম্বার সাস্তু মিয়া গুরুতর অবস্থায় সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল তুঙ্গে।
উভয় পক্ষ ছিল মুখোমুখি অবস্থানে এতে যেকোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে সেই আশংক্ষায় আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের লক্ষে সদর মডেল থানার ওসি মাসুক আলীর সভাপতিত্বে,
গত ২৬শে আগষ্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে কালনী তেমুনিয়াতে উঠোন বৈটকের আয়োজন করে উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের সাথে আলোচনা করে সালিশের পর্যায়ে নিয়ে আসেন এ এসপি রবিউল ইসলাম (পিপিএম)
তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২২ শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের কে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেন।