মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
মাধবপুরে সাড়ে ৩ মাস পর কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন

মাধবপুরে সাড়ে ৩ মাস পর কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন

দর্পণ ডেস্ক : মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পর মাধবপুরের ইটাখোলা কবরস্থান থেকে সাইফুর রহমান মোশেদ (৩০) নামের এক যুবকের লাশ সোমবার দুপুরে উত্তোলন করা হয়েছে। সে ইটাখোলা গ্রামের হেফজুর রহমান মাস্টারের ছেলে।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিক মন্ডল, পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মো. রেজাউল করিমসহ নোয়াপাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৮জুন মাধবপুর থানা পুলিশ সাইফুর রহমান মোশেদের লাশ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইটাখোলা গ্রামে তার বসত ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। এ দিনই মৃত সাইফুর রহমান মোশেদের বড় ভাই শফিকুর রহমান শামীম মাধবপুর থানায় মোশেদের স্ত্রী হাসিনা বেগম হাসিকে আসামী করে খুনের মামলা দায়ের করেন। মাধবপুর থানার মামলা নং ১১। পুলিশ হাসিনা বেগম হাসিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তার ৭ বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ফাতেমা তাবাসসুম খড়কী গ্রামে হাসির বাবার বাড়ীতে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মো. রেজাউল করিম জানান, প্রায় দেড় মাস পূর্বে তিনি এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গরমিল থাকায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে পুনরায় লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

মামলার বাদী শফিকুর রহমান শামীম জানান, অনুমান ১০ বছর পূর্বে প্রেম করে তার ভাই মোশেদ খড়কী গ্রামের আব্দুস সহিদের মেয়ে হাসিনা বেগম হাসিকে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছে। মোশেদ ও হাসির মধ্যে বনিবনা ছিল না। হাসি কমিউনিটি হেলথ মাঠকর্মী খড়কী শাখায় চাকুরী করতো। তার সুপারভাইজারের সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে মোশেদকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশর গলায় ফাঁসি দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলানো হয়েছে। এ বিষয় তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

শামীম বলেন, মাধবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল ওয়াহেদ গাজীর প্রস্তুতকৃত সাইফুর রহমান মোশেদের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্টে ঠোটে, পিঠে, পেটে, পায়ের আঙ্গুল থেতলানো পুরুষাঙ্গ থেতলানো ও ফুলা, দুই বগল থেতলানো ও ফুলা, কোমর হতে পা পর্যন্ত শরীর থেতলানো ও চামড়া উঠানোসহ বিভিন্ন আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ রয়েছে, ছবিও রয়েছে। অথচ ময়না তদন্ত রিপোর্টে কিছুই নেই। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আর সুরতহাল রিপোর্টে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। ময়না তদন্তে প্রকৃত সত্যগোপন করা হয়েছে তাই তিনি পুনরায় ময়নাতদন্ত দাবী করায় আদালতের আদেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।