শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা

দর্পণ ডেস্ক : পেশাগত দিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা।সমাজ সংস্কার তথা সামাজিক উন্নয়নে একজন সাংবাদিক নিরলস কাজ করে যান।একজন সাংবাদিক তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজ,রাষ্ট্র, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজ সংস্কার তথা সমাজ সেবায় নিয়োজিত থাকেন।সেই হিসেবে সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক চ্যালেঞ্জিং পেশা।কঠোর শ্রম সাধনা আর অধ্যবসায় এই পেশার সাথে জড়িত।রয়েছে সীমিত আয়ের মাধ্যম।তবে নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ইহা একটি মহান পেশা।

সাংবাদিকতা হলো বিভিন্ন ঘটনাবলী,বিষয়,ধারণা ও মানুষ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরী ও পরিবেশন,যা উক্তদিনের প্রধান সংবাদ এবং সমাজে প্রভাব বিস্তার করে।
এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বুঝায়।

একজন সাংবাদিক কোন ঘটনার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঘটনার সঠিক তথ্য ও তার ইতিবাক দিক সমাজ তথা সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরেন।আর এ জন্যই সাংবাদিকদের আখ্যায়িত করা হয় জাতির বিবেক হিসেবে।

একজন সাংবাদিক সমাজের সকল অনিয়ম, অত্যাচার ও ব্যবিচারের বিরূদ্ধে কলম ধরে থাকেন।সমাজ,রাষ্ট্র,সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তুলে ধরেন।একজন সাংবাদিকের মাঝে সমাজ ও তার পারিপার্শ্বিক জ্ঞান,মেধা ও মননশীলতার অধিকারী হতে হয়।তাকে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে।সৃষ্টি করার ক্ষমতা থাকতে হবে।অন্যকে কপি করা আর নিজেকে সাংবাদিক দাবি করা মোটেও সৃজনশীলতা নয়।একজন সাংবাদিককে লেখালেখি করার ক্ষমতা থাকতে হবে।তাকে অবশ্যই সাহিত্য প্রেমি হতে হবে।

একজন সাংবাদিক কোথাও সত্যি ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সহ বের করে নিয়ে আসবেন, এটাই তার লেখার মূল বিষয়।আর সেই ঘটনা হুবহু বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরবেন এটাই সাংবাদিকতা।

আমরা যদি জাতি গড়ার কথা ভাবি তাহলে নিঃসন্দেহে একজন শিক্ষক হবেন তার কারিগর। অথাৎ শিক্ষকতা পেশা একটি মহান পেশা।একজন শিক্ষক তার উদারতা,সততা,ন্যায়পরায়ণতা,মানবতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে পারেন।শিক্ষকরাই জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যান।দেশ এবং জাতিকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌছে দিতে শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য।
সাংবাদিকতা পেশাটাও সেই একই রকম।একজন সাংবাদিক তার সততা,সৃজনশীলতা,উদারতা ও মানবতার ন্যায় সমাজকে বিবেচনা করবেন।সমাজের সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার ও অনিয়মের বিরূদ্ধে চলবে তার কলম।সততা এবং ন্যায়ের পক্ষে কথা বলবেন।সমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে ধরবেন।অথাৎ সমাজকে আলোর পথে নিয়ে যেতে সাংবাদিকদের কলম অনন্য ভূমিকা পালন করে।

তবে আমাদের সমাজে কিছু হলুদ সাংবাদিকও আছে যাদের কারণে সাংবাদিকতা পেশাটা কলুষিত হচ্ছে।ওরা সমাজের কিছু বিত্তবান ও ধনীক শ্রেণির কাছে সহজে বিক্রি হয়ে যায়।ফলে অনেক সত্য ঘটনা সমাজের মানুষের চুখে ফুটে ওঠে না।

সাংবাদিকতা করাটা আমার সেই ছুটোকালের শখ।আমাদের যখন পরীক্ষা কিংবা খাতায় My Hobby, paragraph লিখতে বলা হতো তখন আমি প্রায় এটাই লিখতাম।আমি যখন স্কুলে সপ্তম,অষ্টম শ্রেণিতে পড়তাম তখন টিভিতে প্রায় সংবাদ প্রচার দেখতাম,সংবাদপত্র ও প্রায় পড়তাম।দেখতাম সাংবাদিকরা কত সুন্দর করে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ঘটনার সত্য উপস্থাপন করছে।তখন আমার মনে প্রায় আশা জাগতো আমি সাংবাদিক হব।
লেখালেখি করি সেই স্কুল লাইফ থেকেই।যদিও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি প্রস্তুত করে রেখেছিলাম, যা বিভিন্ন কারণ বসত বের করতে পারিনি।
তবে সমাজ ও সামাজিকতার প্রায় অনিয়ম আর অবিচার লেখালেখির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করি।

হ্যা,একজন সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘটনার সত্যতা তুলে ধরা।বিশাল পরিবেশের ব্যাপকতা এবং সত্য সুন্দর ঘটনা অনুসন্ধান করা।বিষয় ও ঘটনার প্রতিবেদন তৈরী করবে।
নিজেকে নিজের মত করে তৈরী করবে।একজন সাংবাদিক কখনও কারও কাছে মাথা নত করবেন না।তার কলমে সব সময় সত্য ফুটে উঠবে।

একজন সাংবাদিক তার সততা,ন্যায়পরায়ণতা ও সত্য ঘটনার সঠিক ব্যবহারে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারেন।আমি এরকম অনেক কৃতি সাংবাদিকের জীবনী পড়েছি।অনেকটা স্ব-চুক্ষেও দেখেছি।

অতএব,সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে একটি মহান পেশা।তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ এই মহান পেশায় মহান আদর্শ ধরে রাখা।সত্যকে সত্য রূপে,এবং অসত্যকে অসত্য রূপে প্রকাশ করতে হবে।নিজে থেকে যে কোন ঘটনার সত্য তুলে ধরতে হবে।সর্বোপরি সমাজ ও জাতির কল্যাণের কথা ভাবতে হবে।
আমাদের অবশ্যই উদার ও মানবিক হতে হবে।
——লেখক:তরুণ কবি ও সাংবাদিক

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।