শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
শেরপুর আবাসিক এলাকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

শেরপুর আবাসিক এলাকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

ফাহাদ আহমদ, শেরপুর থেকে : সংস্কারের অভাবে ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর বাজার আবাসিক এলাকার সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারছেনা। এমনকি ইট সলিং ভেঙে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সর্বসাধারণের কাছে সড়ক যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, ঐ এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম আবাসিক এলাকা ইট সলিং সড়ক। অল্প বৃষ্টিতে পানি লেগে থাকা ও সংস্কার কাজ না হওয়াতে সর্বসাধারণের চলাচলে কষ্টকর হয়ে উঠেছে সড়কটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিবছর স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য সরকারী বেসরকারী খাতে কাজ হলেও আবাসিক এলাকা সড়কটি গত সংসদ নির্বাচনের পরে আর কোনো কাজ হয়নি। সড়কের বেহাল দশার ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

সড়ক দিয়ে বর্তমানে যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শেরপুর মহাসড়কের সীমানা এলাকা থেকে ঐ সড়কটির প্রায় ১ কি.মি পার্শ্ববর্তী উপজেলার সীমানা পর্যন্ত ইট সলিং ভেঙ্গে বড় আকারে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার ইট সলিং নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকার বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী স্কুল, কলেজে যাওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করেন। তাদের যাতায়াতেও অনেক কষ্ট হয় বলে জানা গিয়েছে।
বয়স্ক এবং রোগীদের আনা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যেহেতু অত্র এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের উপর ভর্তি নির্ভর করতে হয়। সেহেতু এই সড়কটি এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ও প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করছে। প্রসূতিদের জন্য এটি হচ্ছে মরণ ফাঁদ। সড়কে কোনো অটোরিক্সা চালক রিক্সা চালাতে আসেন না রাস্তার বেহাল দশার জন্য। এই সড়কের একাধিক অটোরিক্সা চালক জানান আমাদের এই সড়কে গাড়ী চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ভাঙ্গায় পড়ে গাড়ীর ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে সড়কটির এই অংশে সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে। ভারী বৃষ্টি হলে সড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়ে। সড়কটি পাকা করণ পরের কথা সংস্কার না হওয়াতে আমাদের চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবী জানান।

অবাসিক এলাকা সড়কের পাশে অবস্থিত অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, মহাসড়ক দিয়ে প্রবাহিত বৃষ্টির পানি আবাসিক এলাকা সড়ক দিয়ে প্রবেশ করায় ব্যবসা করা যাচ্ছেনা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে সড়কটি। অনেক সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঐ পানিও প্রবেশ করে। যার কারণে অনেকের ব্যবসায় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ কামনা করছি।

অন্যদিকে পোস্ট অফিস সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ছড়াচ্ছে অসহনীয় দুর্গন্ধ। অথচ সড়কটি দিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে রয়েছে আফরোজগঞ্জ বাজার পোস্ট অফিস ও ইকরা কেজি এন্ড জুনিয়র হাইস্কুলসহ একাধিক সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে বৃষ্টির দিন, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও দুর্ভোগে পড়েন এই সড়ক ব্যবহারকারী মানুষ।

স্থানীয়রা দাবী জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ দ্রæত সংস্কার করে এলাকাবাসীর দূর্দশা লাঘব করবে এটাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান।

ইউপি সদস্য নজমুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের। তবে এলাকার মানুষের ভোগান্তির প্রথম কারণ হচ্ছে শ্রীহট্ট ইকোনিক জোন প্রকল্পের বালু ভরাট। যার কারণে লোকাল জলাশয়ের পানি কিছুতে বাহিরে গড়াতে পারছেনা। এনিয়ে অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আবাসিক এলাকার রাস্তার বর্তমানে সংস্কারের কোন তথ্য আমার কাছে জানা নেই।

এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু বলেন, রাস্তাটির পাশের ড্রেনের সীমানা পুরো দখল করে অনেকেই স্থাপনা তৈরি করে রেখেছেন। যার ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো কাজ করা যাচ্ছেনা। যারা ড্রেনের সীমানা জুড়ে স্থাপনা তৈরি করেছেন তারা যদি ড্রেনেজ সীমানা ছেড়েদেন তাহলে সরকারীভাবে কাজ করানো সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।