শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
হেফাজতের হরতাল, লঙ্কাকাণ্ড-কার লাভ, কার ক্ষতি

হেফাজতের হরতাল, লঙ্কাকাণ্ড-কার লাভ, কার ক্ষতি

দর্পণ ডেস্ক : কোন কৌশলের খেলা এটি? কী এমন ঘটেছিল যে আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলো। কেন রাজপথ রঞ্জিত হলো? লাশের ওপর পা রেখে কারা ফুর্তি করেছে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- এর জন্য দায়ী কারা? আরও একটি প্রশ্ন আছে- কারা এতে লাভবান হয়েছে? হিসাব কি বলে? হেফাজত বলছে, পুলিশের সঙ্গে ছিল সশস্ত্র ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ বলছে হেফাজতকে সঙ্গে রেখে জামায়াত ও বিএনপি’র কাজ এসব। স্বাধীনতা বিরোধীদের কাজ এসব। বিএনপি বলছে হেফাজতের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। একে- অন্যের ওপর দায় চাপালেও ঘটনা তো ঘটেছে। তাই প্রশ্ন-কারা ঘটিয়েছে এসব। আর কিসের জন্য এত তাজা প্রাণ বলি দিতে হলো? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এসেছেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

তার সফরে যেসব স্থানে যাওয়ার গিয়েছেন। এতো লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে এসব কি থামানো গেছে? তাহলে কেন রক্তপাত। হেফাজত, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত কার লাভ হয়েছে এতে। কেউ কি বলতে পারেন? মোদি এসেছেন রাষ্ট্রীয় সফরে। এমন এক অনুষ্ঠানে এসেছেন তিনি যে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ জন্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান। পাশাপাশি যার অবদানে এই বাংলাদেশের সৃষ্টি, বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। দু’টি উপলক্ষই তো বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে জড়িত। এখানে ব্যক্তি মোদির কোনো স্থান নেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর স্থান। এখানে ব্যক্তি মোদি যোগ দেননি, দিয়েছে ভারত রাষ্ট্র। যারা ব্যক্তি মোদিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তার গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তার মুসলমান বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন- তারা প্রশ্ন তুলতেই পারেন। ব্যক্তি মোদিকে তারা অপছন্দ করতে পারেন। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অন্য আরেক রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা সরকার প্রধানের যোগ দেয়াকে তারা কোনোভাবেই বিতর্কিত করতে পারেন না। যারা মোদির আগমন উপলক্ষে হরতাল দিয়েছেন তারা কি একটু চিন্তা করে দেখেছেন যে, নিজের অজান্তেই তারা একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যে রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি দুর্যোগে তাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

যাকগে সেসব কথা। এই মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় লঙ্কাকাণ্ড- এটা কারা ঘটিয়েছে। একে-অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে তো? কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি এটা করে থাকে, তাহলে প্রমাণসহ তাদের সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। মোদি বিরোধিতা এক জিনিস আর ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড, নির্বিচারে হত্যা আরেক জিনিস। এ ঘটনায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটুকু বেড়েছে? কতটুকু অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এভাবে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার অধিকার কারো নেই। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেন মৃতপুরী। ভাঙচুর আর আগুনের ক্ষত নিয়ে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছে তার অসহায়ত্বের কথা। মন্ত্রী ছুটে গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল গেছেন। পুলিশ প্রধান ছুটে গেছেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধ্বংসলীলা দেখে হতভম্ভ। কোন মানুষ এমন কাজ করতে পারে তা ভাবনার বাইরে। আর বসে থাকার উপায় নেই। সময় দেয়ারও সুযোগ নেই। এখনই এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে। উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তবে অবশ্যই কোনো নিরীহ সাধারণ মানুষ যেন আইনের গ্যাঁড়াকলে না পড়ে- সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।