মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সিলেটে বিধিনিষেধ মানছে না কেউ

সিলেটে বিধিনিষেধ মানছে না কেউ

দর্পণ ডেস্ক : সিলেটে বিধিনিষেধ মানছে না কেউ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৭ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সেই সাথে গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও সিলেটে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই সিলেট নগরীতে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এদিকে সিলেটে নিত্যপণ্যের দোকানপাট খোলা রয়েছে।

সরেজমিনের দেখা যায়, সিলেট নগরীর আম্বরখানা, জেলরোড, টিলাগড়, শাহপরাণ বাইপাস, উপশহর, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়, মীরের চক, মেন্দিবাগ, মুধশহীদ, তালতলা, মজুমদারী, কদমতলীসহ অধিকাংশ এলাকায় সরকারের নির্দেশনা না মেনে চলছে যানবাহন।

এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য সিলেটে ১১ টি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর ঘর থেকে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটএম কাজী এমদাদুল ইসলাম নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে জনসাধারণকে অনুরোধ করেন।

নির্দেশনাগুলো হলো- সিলেট জেলা উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকা হওয়ায় সকল ধরণের জনসমাগম (সামাজিক-রাজনৈতিক/ধর্মীয়/ অন্যান্য) নিষিদ্ধ করা হলো। মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে হবে। পর্যটন/বিনোদনকেন্দ্র/সিনেমা হল থিয়েটার হলে অন্য জেলা হতে পর্যটক/দর্শনার্থীদের আগমন নিষিদ্ধ করা হলো। সিএনজি, বাসসহ সকল প্রকার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গণপরিবহণে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। হাটবাজার, মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে কেনা-বেচা রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। বর্ণিত স্থানসমূহে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথভাবে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে অবস্থান করা যাবেনা। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা /আড্ডা নিষিদ্ধ করা হলো। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।

যে কোন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি ক্রেতা প্রবেশ করানো যাবে না। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে সর্বদা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শাম্মা লাবিবা অর্ণব’র সাথে সোমবার (৫ এপ্রিল) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

জানা যায়, সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণপরিবহন আগামীকাল থেকে বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি-ওষুধ-পচনশীল-ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টসসামগ্রী এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার থেকে আপাতত সাত দিনের জন্য লকডাউন (অবরুদ্ধ অবস্থা) শুরু হবে। দেশে লকডাউন দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।