শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
সিলেটের গোয়াইনঘাট নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি,জর্জরিত একাদিক সমস্যায়

সিলেটের গোয়াইনঘাট নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি,জর্জরিত একাদিক সমস্যায়

বদরুল ইসলাম,গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের প্রাকৃতিক নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন খ্যাত স্পর্শকাতর এলাকা এমনকি উপজেলা বলতে গেলে গোয়াইনঘাট উপজেলাই সর্বমহলের চোঁখে ভেসে ওঠে।শিল্প,সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিয্যে পরিপূর্ণ উপজেলা এটি।বলতে গেলে বিছনাকান্দি,জাফলং,পান্তুমাই এমনকি পাথর,বালি, প্রাকৃতিক গ্যাস,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ উপজেলা গোয়াইনঘাট।কিন্তু আজও শিক্ষা,সভ্যতা, সৃজনশীলতা তথা আধুনিকতায় সিলেটের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।এমনকি উপজেলার প্রতিটি মানুষ বঞ্চিত তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে।

গোয়াইনঘাট তথা জৈন্তার গ্যাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও বঞ্চিত উক্ত উপজেলা সর্বস্তরের মানুষ।জৈন্তার ঘরে ঘরে গ্যাস চাই , আমাদের গ্যাস তোমাদের ফুটানি, এমন অনেক আন্দোলন সামাজিক যোগাযোগ তথা পত্র পত্রিকায় তুলে ধরা হলেও বাস্তবসম্মত কোন সিদ্ধান্ত আজও আসছে না।তবে কি জৈন্তার মানুষ আজীবন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে?

অন্যদিকে পাথর বালিতে উপজেলাটি পরিপূর্ণ হলেও দীর্ঘ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে সেই পাথর কোয়ারি। সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্ন জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের জন্য লাখো মানুষের ভরসার একমাত্র স্থল হলো পাথর কোয়ারি।কোয়ারি খোলে দেয়ার জন্য একের পর এক দাবি তুললেও কোয়ারি খোলার বিষয়ে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত আসছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কোয়ারি সচল করার বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি’র সাথে সিলেটের ৪ চার উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে জানা যায় তিনি দেশের বাইরে পরিবারের সাথে দেখা করতে গেছেন।
এদিকে কোয়ারি বন্ধ থাকায় উপজেলার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকারত্বে অসহায় জীবন যাপন করছে।এরকম অসহায়ত্ব আগামীর জন্য মারাত্মক কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।প্রভাব পড়বে সামাজিক জীবন ও অর্থনীতিতে।

দীর্ঘ করোনার তুলকালাম কান্ড অন্যদিকে একের পর এক বন্যায় জন জীবন প্রায় বিপর্যস্ত।অসহায় নিত এনে নিত খাওয়া মানুষ।উপজেলার প্রায় ৮০%লোক কৃষিনির্ভর।জীবন জীবিকার তাগিদে একের পর এক মাঠে বীজ তথা ফসল উৎপাদন করলেও বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি।স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন একাদিক বার ফসলের বীজ বপন করলে বন্যার কারনে তা আর পূর্ণতা পায়নি।খেতের সিজন এখনও আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন খেতের সিজন থাকলেও পুনরায় বীজ বপন করা বেশ হতাশাজনক।একের পর এক বন্যার আঘাতে কৃষকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

এদিকে বন্যায় বিপর্যস্ত এলাকার খবর নিতে গিয়ে দেখা যায় কত মানুষ বসবাসের শেষ সম্বল ঘর বাড়ি হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে।বন্যার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ নিন্ম এলাকার মানুষের জীবন। সাময়িক সময়ে জনপ্রতিনিধি এবং কিছু সুজন সহায়তার হাত বাড়ালেও এখন তাদের পাশে কেউ নেই।
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া ছয়ফুলের ঘর লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে থাকলেও নেই তার মেরামত করার সামর্থ্য। এরকম একাদিক ছয়ফুল ছন্নছাড়া হয়ে মানবেত জীবন যাপন করছে।দেখা যায় উপজেলার নিম্ন এলাকার মানুষ বন্যা তথা যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে কতটা হুমকির মুখে জীবন যাপন করছে।অন্যদিকে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নদীর তীরে গড়ে ওঠা ঘর বাড়ি গুলো।কখন যে ধসে পড়ে, এরকম সম্ভাবনায় একাদিক বাড়িও রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরসনে এখনই প্রয়োজনীয় কোন উদ্দ্যোগ নেয়া না হয় তবে ভবিষ্যতে এর প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

মাদক,জোয়া,হত্যা,রাহাজানি উপজেলাটিতে দিন দিন বেড়েই চলছে।বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরা চরম আকার ধারণ করেছে।সীমান্তবর্তী এলাকা মাদকের প্রধান আঁখড়া হলেও এর বিশালতা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে দাবিত হচ্ছে।করোনার প্রভাবে দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন মাদকের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং আগামীতেও থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।