মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
শিশু ইমনের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি ; হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চায় স্বজন

শিশু ইমনের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি ; হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চায় স্বজন

নিউজ ডেস্ক ◾শিশু ইমনের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।হত্যা না আত্মহত্যা এই প্রশ্ন স্বজনদের।স্বজনরা ইমনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ প্রশাসন সহ সকালের সহযোগিতা চায়।

১৩ আগস্ট শনিবার রাত ৯ ঘটিকার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের সারপার( নয়াগ্রাম) এলাকা থেকে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ১২ বছরের শিশু ইমনের লাশ উদ্ধার করে।একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রবিবার সকাল ৮ ঘটিকার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় লাশ দুবাগ ইউনিয়নের মইয়াখালী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।এবং রাত সাড়ে ১০ ঘটিকায় দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমনের মা-বাবা প্রবাসে থাকার কারণে ইমন ও তার বড় ভাই মারজান তাদের নানির বোন মিনই বিবির কাছে থেকে সারপার মাদ্রাসায় লেখা পড়া করতো।মিনই বিবি নিজ পিত্রালয়ে থাকেন।এবং তাদের দেখা শুনা করতেন।ঘটনার দিন খাবার দাবার নিয়ে মিনই বিবির সাথে দুপুর বেলায় ইমনের কথা কাটাকাটি হয়।ঐ দিন সন্ধ্যার আগ থেকে মারজান তার ভাইকে দেখতে না পেয়ে নানির কাছে বিভিন্ন প্রশ-করতে লাগে।এতে নানি বিযয়টি এড়িয়ে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আবদ্ধ করে রাখেন।মারজান তার ভাই কে খোঁজে আনতে বারবার চাইলে নানি মিনই বিবি কোন সুযোগ দেননি। এরইমধ্যে সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার চলে আসে।ছোট ভাই ইমনকে খোজতে সে উন্মাদ হয়।কি নানি সেই আবদ্ধ করা কক্ষ থেকে তাকে বাহির হতে দেননি।এরপর আবার বিদ্যুৎ চলেগেলে নানি তাকে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সুযোগ করে দেন।সে ঘর থেকে বাহির হয়ে উঠান পাড়ি দিয়ে দেখে পুকুর পারের একটি ছোট আমগাছে তার ভাই ইমন ঝুলিয়ে আছে। সে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে আসেন।

দুবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ও স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার আলতাব হোসেন রেজাকে দেওয়া এক বক্তব্যে উপরে উল্লেখিত বিবরণ তুলে ধরে নিহত ইমনের ভাই মারজান।

মারজনের বক্তব্য থেকে তাদের আত্মীয় স্বজনের সন্দেহ হচ্ছে সন্ধ্যার সাথে সাথে কোন এক সময় ইমনকে হত্যা করা হয়।এবং মারজানকে ঘরে আবদ্ধ করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ইমনের আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ, এতবড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও ঘটনাস্থল থেকে কোন লোক বিষয়টি ইমনের বাড়িতে জানায়নি।এতে এই ঘটনার পিছনে সন্দেহ আরো বেড়ে গেছে।ইমন আত্মহত্যা করেছে না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে চায় ইমনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন।তারা বলছেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।অভিযোগ দয়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।