শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
রায়হান হত্যা ; আরো ও ৩ দিনের রিমান্ডে কনস্টেবল টিটু

রায়হান হত্যা ; আরো ও ৩ দিনের রিমান্ডে কনস্টেবল টিটু

দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

৫ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার বিকেলে তাকে আদালতে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে টিটু জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় তার আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সিলেটের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তাকে ১৬৪ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বলা হলে সে তা দেয়নি; এজন্য পিবিআই আরো ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) টিটুর ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হয়। এরআগে গত ২০ অক্টোবর পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় শনিবার আরেক কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই।

টিটু ও হারুন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান আহমদ মৃত্যুর ঘটনায় টিটু-হারুনসহ আরও ৪ পুলিশ সদস্যকে আগেই সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।