বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
মায়ের কবরে ছেলের লাশ উদ্ধার ; গ্রেফতার ২

মায়ের কবরে ছেলের লাশ উদ্ধার ; গ্রেফতার ২

দর্পণ ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের মোলানী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে মায়ের কবরের উপরে ছেলের লাশ উদ্ধার মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে মৃত নূর ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার দেবীপুর ওস্তাদপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে সেলিম রেজা (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০)।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রায় একমাস ধরে গ্রেফতারকৃতরা নিহত ব্যবসায়ী নূর ইসলামের কাছে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ অক্টোবর রাতে নূর ইসলাম দোকান বন্ধ করে দোকানের টাকাসহ বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পার্শ্বে কবর স্থানের রাস্তায় পৌঁছালে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে হত্যা করে। এসময় আসামীরা তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মৃত দেহটি তার মায়ের কবরের উপরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতরা কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলামের কাছে দোষ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অরও উল্লেখ করেন, গত ১১ অক্টোবর রোববার মৃত নূর ইসলামের বড় ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করলে মামলাটি রুজু করা হয়। পরে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক অভিযান পরিচালনা অব্যহত রেখে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নূর ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, নূর ইসলাম গত ১০ অক্টোবর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবর স্থানে তার মায়ের কবরের উপরে তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। নূর ইসলাম সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের মোলানী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে। তিনি বৈরাগী বাজারে মুদি খানার দোকান করতো।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।