মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ভারতে সাজা খেটে ফিরল ৪২ বাংলাদেশি ; ৩০ বছর পর বাবা-ছেলের দেখা

ভারতে সাজা খেটে ফিরল ৪২ বাংলাদেশি ; ৩০ বছর পর বাবা-ছেলের দেখা

দর্পণ ডেস্ক : মৌলভীবাজারের বড়লেখার দুই যুবকসহ ৪২ বাংলাদেশি ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে (কারাগার) সাজা ভোগের পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন।

৩০ বছর পর ছেলের সঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী বাবার দেখা হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সোমবার বিকালে বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ তাদের বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা এসব বন্দী তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে এসেছেন।

বিয়ানীবাজার বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে রয়েছেন- পিরোজপুর জেলার চার পরিবারেরই ১৬ জন, বাঘেরহাটের তিনজন, চট্টগ্রামের ছয়জন, মৌলভীবাজার ও সিলেটের সাতজন, দিনাজপুরের একজন, গোপালগঞ্জের একজন, নোয়াখালীর একজন, কুমিল্লার একজনসহ মোট ৪২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।

বিকাল ৪টায় বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজার বিজিবি, থানা পুলিশ ও শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের হস্তান্তর করেছে।

এ সময় করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার, বিয়ানীবাজার থানার ওসি কল্লোল রায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ভারতের কারাগারে সাজাভোগী বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তন কাজের সমন্বয়কারী সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাস, শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম, বিজিবি বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন কুমার মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মন্তাজ মিয়া ৩০ বছর আগে ভারতে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আর জীবিত নেই। আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের তৎপরতায় তার সন্ধান পায় পরিবার। তাকে নিতে শেওলা সীমান্তে আসেন তার ৩১ বৎসরের যুবক ছেলে আমির হোসেন।

৩০ বছর পর ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মন্তাজ মিয়া (৬৬)। এ সময় শেওলা চেকপোস্টে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শেওলা চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম জানান, ভারত থেকে সাজা ভোগের পর ৪২ জন বাংলাদেশি সোমবার বিকালে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বজনরা তাদের নিতে পূর্ব থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। মেডিকেল টেস্টসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রত্যাবর্তনকারীদের তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।