শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি,পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি,পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

নিউজ ডেস্ক ◾বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা সহ আন্তঃ জেলা রাস্তার বিভিন্ন অংশ।

উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী আলীনগর ও চারখাই ইউনিয়ন এবং কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা ইউনিয়ন এবং সোনাই নদীর তীরবর্তী তিলপাড়া, মোল্লাপুর, লাউতা ও মুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কবলিত এলাকার প্রধান সড়কসহ উপজেলা ও গ্রামীন সড়কের ৯০ ভাগ তলিয়ে গেছে।গত রাতে এসব এলাকায় প্রচুর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার দুই লাখ মানুষ।বন্যায় কবলিত হওয়ায় উপজেলার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাউবোর সূত্র মতে, রোববার সকাল থেকে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে।কুশিয়ারা নদীর শেওলা ইউনিয়নের কাকরদিয়া ও আলীপুর এলাকার ডাইক ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নদীর ভাঙ্গা ডাইক মেরামত করছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।তারপরও রোববার রাত থেকে অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শেওলা সাবস্টেশন এলাকা। তবে পল্লীবিদ্যুৎ স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় এ সাবস্টেশনটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার্তদের জন্য ৩৩ মেট্টিক টন চাল এবং নগদ দেড়লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার মধ্যে ২২ মেট্টিকটন চাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সাথে বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা পরিবারকে শোকনো খাবার বিতরণ করবে উপজেলা প্রশাসন। বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রস্তুত রাখা ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে রোববার সকাল পর্যন্ত ৮৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে আশ্রয় কেন্দ্র মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বন্যার পানি বৃদ্ধি যে ভাবে অব্যাহত আছে এই পরিস্থিতিতে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ দুর্গত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পোছানো হচ্ছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর জানান,বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সাথে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষকসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য আহবান করা হয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার দুই লাখের বেশি মানুষ।সেই সাথে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে গৃহ পালিত পশু।

এদিকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিতে স্থানীয় এমপি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সোমবার বিকেলে আসছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।