বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বিশ্বনাথে দলীয় কোন্দল আর বিদ্রোহের কারণেই নৌকার ভরাডুবি

বিশ্বনাথে দলীয় কোন্দল আর বিদ্রোহের কারণেই নৌকার ভরাডুবি

দর্পণ ডেস্ক : দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার হয়ে গেল সিলেটের বিশ্বনাথের ৮ নম্বর দশঘর ইউনিয়ন নির্বাচন। বরাবরের মতো এবারও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এবার তিন হাজার ১৬৬ ভোট পেয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমাদ উদ্দিন খান নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জবেদুর রহমান পেয়েছেন দুই হাজার ৭৮১ ভোট।

নৌকার বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও বিদ্রোহীর কারণে এবারও বিএনপির প্রার্থীর কাছে হারল আওয়ামী লীগ। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা এখন এমন অভিযোগই তুলেছেন।

বিএনপির বিপক্ষে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে এক হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আবুল হোসেন। আর দুই হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী প্রবাসী সামছু মিয়া লয়লুছ। অন্যদিকে ১২২ ভোট পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের একক প্রার্থী আব্দুল মন্নান।

২০০৩ সালে এই ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিক উদ্দিন নির্বাচিত হন। এর আগে একাধারে তিনবার প্রবীণ বিএনপি নেতা প্রয়াত রফু মিয়া চেয়ারম্যান ছিলেন। তার আগেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে পারেননি। কিন্তু এরপরও এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বিদ্রোহী প্রার্থীকে গোপনে দলের একাংশের নেতারা সমর্থন করায় নৌকার বিজয় হাতছাড়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের নেতারা।

তাদের অভিযোগ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলয়ের হওয়ায় নৌকার প্রার্থী জবেদুরের বিরোধিতা করেছেন সাবেক এমপি ও সাবেক জেলা সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয়ের নেতারা। তাদের দাবি, বিদ্রোহীসহ আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী মিলে ভোট পেয়েছেন।

পাঁচ হাজার ৫২২। আর বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীসহ দুই প্রার্থী মিলে ভোট পেয়েছেন চার হাজার ৬৭২। তাই এ বছর একক প্রার্থী দেওয়া হলে ৮৫০ ভোট বেশি পেয়ে নৌকার বিজয় হতো।

আনোয়ারুজ্জামান বলয়ের নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ও সাবেক প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলের নেতারা গোপনে সমর্থন দেওয়ায় এবারও নৌকার পরাজয় হয়েছে।

তবে প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করায় এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছেন শফিক চৌধুরী বলয়ের নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে জেলা নেতৃবৃন্দসহ সব নেতাকর্মীই কাজ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।