বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বিগত ৬ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজার মানুষের

বিগত ৬ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজার মানুষের

দর্পণ ডেস্ক : গত ৬ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই হিসাব বেরিয়ে এসেছে একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে। জরিপে এটাও বলা হয়, এর মধ্যে বিচার হয়েছে মাত্র একটির। সম্প্রতি পুলিশি হেফাজতে সিলেটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় মৃত্যুর ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদন্তে অবহেলার কারণেই বারবার ঘটছে এমন ঘটনা। পুনরাবৃত্তি রুখতে দরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

পুরান ঢাকার স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী রাজিব কর। পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন কোতোয়ালি থানার গোয়ালনগরে। অভিযোগ, ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ তারিখে গভীর রাতে তাকে বাসা থেকে তুলে নেয় কোতোয়ালি থানা পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা। সঙ্গে নিয়ে যায় ঘরে থাকা ২৮ ভরি স্বর্ণ আর নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা। জমি বিক্রি করে নিজেই ব্যবসা করার জন্য এই স্বর্ণ কিনেছিল রাজিব।

রাজিব করের দাবি কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাকে তুলে নেয় তৎকালীন কোতোয়ালি থানার এসআই জলিল, মিজান আর এএসআই ফরিদ ভূইয়া। থানায় নিয়ে চলে অমানুষিক আর শারীরিক নির্যাতন।

রাজিব কর বলেন, তারা এমনভাবে নির্যাতন করে যে, আমার হাতের নখও তুলে দেন। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, আমার অপরাধ কী?  যদি অপরাধ করে থাকি তাহলে আমাকে কোর্টে চালান করে দেন। বলেন, তোরে ওপরের কোর্টে পাঠিয়ে দেব।

ভুক্তভোগী জানান, গত প্রায় দুই বছরে পুলিশের সদর দফতর ডিএমপিসহ কয়েক জায়গায় অভিযোগ করেও মেলেনি প্রতিকার। নির্যাতনের ফলে কর্মক্ষমতাও হারিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই জলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ওই দিন আমার ডিউটি ছিল এএসআই ফরিদকে সাহায্য করা।

এসআই মিজান ও এএসআই ফরিদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রাণ গেছে ১৫৫৭ জনের। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা ছুঁয়েছে ২১৬ তে। ।

সাবেক আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও মানবাধিকার কর্মী শীপা হাফিজা বলেন, সঠিকভাবে তদন্ত না হওয়া আর বিচারহীনতার কারণেই ঘটছে এমন ঘটনা

এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।