শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
বাবা-মা সন্তান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

বাবা-মা সন্তান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

দর্পণ ডেস্ক : কি‌শোরগ‌ঞ্জের কটিয়াদিতে বাবা-মাসহ এক সন্তান‌কে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ৪ জন‌কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ঘটনার পরপরই তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত আসা‌দের ছোট ভাই দীন ইসলাম, বোন নাজমা, তাস‌লিমা ও এক বো‌নের জামাই ফজলুর রহমান‌।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ত্রিপল মার্ডারের দায় স্বীকার করেছে নিহতের ভাই দীন ইসলাম। জমি নি‌য়ে পারিবারিক বি‌রো‌ধের জের ধ‌রেই এ  হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার রা‌তে স্ত্রী ও এক সন্তান‌কে নি‌য়ে নিজের ঘ‌রে ঘুমিয়েছিলেন আসাদ। বৃহস্পতিবার সকালে তা‌দের দুই ছেলে মোফাজ্জল ও তোফাজ্জল ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে বাবা-মা ও ছোট ভাই‌কে খুঁজে না পেয়ে এলাকাবাসী‌কে জানান। পরে রক্তের দাগের সূত্রধরে বাড়ির আঙিনায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তিনজনের মরদেহ বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আসাদের ছেলে জানান, আমার বাবা, মা ও ভাইকে যারা খুন করেছেন, তাদের অনেকেই বাইরে ঘুরতেছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

ঘটনার পরপরই আটক করা হয়, নিহত আসা‌দের ছোট ভাই দীন ইসলাম, বোন নাজমা, তাস‌লিমা ও এক বো‌নের জামাই ফজলুর রহমান‌কে। ত‌বে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে দীন ইসলাম। হত্যায় তার দুই বোনসহ এক বো‌নের স্বামীও অংশ নেয়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার পর আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দীন ইসলামসহ অন্যদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিলন বলেন, শুধু রোগাক্রান্ত দীন ইসলাম, তার বৃদ্ধা মা ও বোনের দ্বারা তিনজনকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া খুনি থাকতে পারে বলে ধারণা তার।

বনগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহাঙ্গীর জানান, কিছুদিন আগে আসাদের মা জমি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত বিষয় মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে দরখাস্ত দিয়েছিলেন। আগামীকাল শনিবার আসাদের বাড়িতে শালিস হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই নির্মম এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।