শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : শায়েস্তাগঞ্জে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্র তানভীর হত্যার সাথে জড়িত ঘাতক উজ্জল ও শান্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানরন্দি দিয়েছে।
বুধবার খড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামীদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তারা আদালতকে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
ঘাতকদের বর্ণনা অনুযায়ি হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনার শুরু দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর আগে। তানভীরের প্রতিবেশী উজ্জল তাদের বাড়ির পাশে সবজি চাষ করত। সেই জমিতে চাষ করা কলা উজ্জল বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। তৎক্ষণাত তানভীরের বাবা ফারুক মিয়া উজ্জলকে বলে ‘তুই এই কলা চুরি করে নিয়ে এসেছিস’। এই কলা বিক্রির ঘটনা নিয়ে বাজারে সালিশ হয়। ওই সালিশে ভিকটিমের বাবা ফারুক মিয়া অপমান করে উজ্জলের বাবা সৈয়দ আলীকে। যা উজ্জলের মনে দাগ কাটে। সে কখনোই এই অপমানের ঘটনা মেনে নিতে পারেনি। তার মনের কোণে জমতে থাকে ক্রোধ এবং প্রতিশোধের নেশা যা একসময় বিশাল আকার ধারণ করে।
এদিকে, সৈয়দ আলী তার ছেলে উজ্জলকে সকল ঝামেলা এড়াতে বিদেশে পাঠিয়ে দেন। যত দিন যেতে থাকে উজ্জলের মনে থাকা ক্রোধ ততই বাড়তে থাকে। তার মনে শুধু একটাই চিন্তা ঘুরপাক খায়, কিভাবে সে তার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিবে। এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ ৬ বছর। এরই মধ্যে দেশে ফিরে আসে উজ্জল। আবার মাথাচারা দিয়ে জেগে উঠে তার মনের কোণে জমে থাকা ক্রোধ এবং প্রতিশোধের নেশা। সে বিভিন্নভাবে ছক কষতে থাকে কিভাবে তার বাবার অপমানের বদলা নেয়া যায়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।