শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণায় প্রবাসীদের মাথায় হাত

ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণায় প্রবাসীদের মাথায় হাত

দর্পণ ডেস্ক : প্রবাসী কর্মীরা কেউ কেউ ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন ১৩-১৪ মাস ধরে। তারপরেও অনেক চেষ্টা করে এবং অর্থ খরচ করে রি-এন্ট্রি পারমিট পেয়ে গন্তব্য দেশের শর্ত অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনের হোটেল বুকিং দিয়েছেন। বিদেশগমনে সেখানে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত খরচ। তারপর টিকেট কেটেও এখন ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে প্রবাসী কর্মীদের।

শুধু কর্মী নন বিদেশ থেকে অনেক পেশারই চাকরিজীবীরা দেশে এসেছেন ছুটিতে। তাদেরও এখন হোটেল বুকিং আর টিকেটের খরচ দিয়ে মাথায় হাত, কারণ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকেট রি-ইস্যু করা গেলেও কোয়ারেন্টিনের টাকা কোনোভাবেই ফেরতযোগ্য না।

কাতারের দোহা থেকে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন রানা। তিনি বলেন, অনেকেই ছুটিতে এসে ১৩-১৪ মাস আটকা পড়েছি। অনেক সময় পরে রি-এন্ট্রি পারমিট পেলেও এখন ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে কোয়ারেন্টিনের জন্য যে টাকা আমরা হোটেলকে দিয়েছি সেটা পুরাটাই লস যাবে। তারপর টিকেট রি-ইস্যু করতে লাগবে অতিরিক্ত টাকা। আমাদের তো মরার ওপর খাড়ার ঘা অবস্থা।

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০ হাজারের মতো যাত্রী তৈরি টিকেটসহ। আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি যেন অন্তত যাওয়ার ফ্লাইট চালু রাখা হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি, যেহেতু গন্তব্য দেশ ফ্লাইট বন্ধ করেনি সেক্ষেত্রে আমাদের যাত্রী যাদের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তাদের যাওয়ার একটা বিশেষ ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কারণ গন্তব্য দেশ বন্ধ করলে আমাদের কিছু করার নাই কিন্তু যতক্ষণ তারা বন্ধ না করছে আমাদের যাওয়ার ফ্লাইট চালু রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার যদি উদ্যোগ না নেয় আমরা বিশাল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। আমাদের লোকজন যারা কাজ নিয়ে যাচ্ছে তারা তো বিপদে পড়ছেই আমরাও ভুক্তভোগী হবো । এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার মতো আমাদের কোনও সুযোগ থাকবে না। আমরা বন্ধ করলে গন্তব্য দেশের ভিসা বর্ধিত করার সুযোগ থাকবে না।

এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই সংকট নিরসনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। এটি নিয়ে শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি বৈঠক করার কথা আছে।

এ বিষয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের শরিফুল হাসান বলেন, আমাদের গত বছর করোনার কারণে কর্মসংস্থান ৭ লাখের জায়গায় ২ লাখেরও কিছু বেশি হয়েছে। এবছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছিল। গত ৩ মাসে আমাদের প্রায় দেড় লাখ লোক বিদেশ গিয়েছে। এই মুহূর্তে হঠাৎ করে ফ্লাইট বন্ধ অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত হলো। কারণ আমরা কর্মী পাঠাই , কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের বন্ধ করার কারণে অনেক কর্মী যেতে পারবে না, তাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য যে হোটেল বুক করা ছিল সেটার টাকা লস যাবে, নির্ধারিত সময় কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবে না , ভিসার সমস্যা হবে। প্রবাসী কর্মীরা কিন্তু প্রতি পদে পদে সমস্যায় পড়বে।

তিনি আরও বলেন, যারা যাচ্ছেন তারা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কেন আটকাবো? সাতদিনের বন্ধের প্রভাব ১৫-২০ হাজার মানুষের ওপর পড়বে। এটা আমাদের জন্য খুবই নেতিবাচক সিদ্ধান্ত।

অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (অকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেন, যাদের যাওয়ার কথা ছিল তারা যেতে না পারলে টাকা পয়সা দিয়ে দিয়ে যারা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা যেন কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই জায়গা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। যেতে না পারলে এটার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।