বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
নবীগঞ্জে জামাত নেতার হাতে এবিসি স্কুলের শিক্ষক রক্তাক্ত

নবীগঞ্জে জামাত নেতার হাতে এবিসি স্কুলের শিক্ষক রক্তাক্ত

বীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে জামায়াত নেতা ও তাহিরপুর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সোহেল আহমদ কর্তৃক এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্টাতা ও প্রধান শিক্ষক মাসুদ কবিরকে বেদরক প্রহার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ কবিরকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় শহরে তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের শেরপুর রোডস্থ বাংলা টাউনে এবিএস স্কুলে।

সুত্রে জানাযায়, বগুড়া জেলার মাসুদ কবির ইংলিশ মিডিয়ার জন্য নবীগঞ্জে আসেন দীর্ঘদিন পুর্বে। সে সুবাধে পরিচয় ঘটে জামায়াত নেতা ও তাহিরপুর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সোহেল আহমদ, আমীর উদ্দিনগংদের সাথে। ফলে ২০১৭ সালে নবীগঞ্জ বাংলা টাউনে তারা মিলে এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্টা করেন। শুরু থেকেই মাসুদ কবির স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। একটা টাকা বেতনও নেন নি তিনি। কিন্তু তার দেশের বাড়ী বগুড়া হওয়ার কারনে কুর্শি ইউপির বাজকাশারা গ্রামের সোহেল আহমদ, আমীর উদ্দিন ও সামছু উদ্দিন এক জোট হয়ে মাসুদ কবিরকে স্কুল থেকে বিতারিত করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। স্কুলের যে কোন বিষয়ে উক্ত জামায়াত নেতারা মাসুদ কবির ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে মাসুদ কবির জানতে চাইলেই ঘটে বিপত্তি। এক পর্যায়ে সোহেল আহমদগংরা অপর জামায়াত নেতা আলমগীর মিয়াকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে কৌশলে মাসুদ কবিরকে সরিয়ে নেন। এছাড়া সরকারী নীতি মালার বাহিরে স্কুল পরিচালনা করতে চান জামায়াত নেতারা। এতে বাদ সাধেন মাসুদ কবির। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। মহামারি করোনাকালীন সময়ে স্কুল খোলা রেখে অভিভাবকদের কাছ থেকে বেতন নিতে চায় উক্ত জামায়াত নেতা। কিন্তু এতেও সায় দেয়নি মাসুদ কবির। এর জের ধরে ক্ষিপ্ত হন জামায়াত নেতা প্রাইমারী শিক্ষক সোহেল আহমদ। বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উক্ত স্কুল খোলে গোপনে বৈঠকে বসেন স্কুল ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ, এমডি আমীর উদ্দিন ও সামছু উদ্দিন। খবর পেয়ে স্কুলে যান অপর এমডি মাসুদ কবির। তাকে স্কুলে যেতে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সোহেল আহমদ। তিনি মাসুদ কবিরের সাথে অশালীন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্কুলের ভিতরেই মাসুদ কবিরকে এ্যালোপাথারি হামলা চালায় সোহেল। এতে গুরুতর আহত হয় মাসুদ কবির (৩৯)।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। এদিকে একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হয়েও উক্ত জামায়াত নেতা সোহেল আহমদ কিভাবে একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল পরিচালনা করেন এনিয়েও আলোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে শহর জোরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোহেল আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান। এছাড়া এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বসার কথা রয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।

মাসুদ কবির বলেন, আমার বাড়ী বগুড়া হওয়ার কারনে ওরা স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে আমার সাথে অন্যায় ব্যবহার করছে। এছাড়া যে ভাবে হামলা করা হয়েছে অল্পের জন্য আমি রক্ষা পেয়েছি। এ বিষয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।