শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
নবীগঞ্জে ইউপি ভবনের প্রতিষ্ঠাতা দাবী চেয়ারম্যানের, সমালোচনার ঝড়!

নবীগঞ্জে ইউপি ভবনের প্রতিষ্ঠাতা দাবী চেয়ারম্যানের, সমালোচনার ঝড়!

মোঃ তাজুল ইসলাম, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকেঃঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নিজেকে দাবী করে নব-নির্মিত গেইটে নাম ফলক টানানোর ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকারের অধীনে অত্র ইউনিয়ন ১নং পশ্চিম বড় ভাকৈর থেকে পৃথক হয়ে ১৯৬৯ সালে প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন। আজিজুর রহমান জালু মিয়া অত্র ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এরপর পর্যায়ক্রমে আনোয়ার মিয়া, মেহের আলী মহালদার, হেকিম মাষ্টার, আশিক মিয়া, আক্তার হুসেন ছোবা মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকারের অধীনে সারাদেশে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ীভাবে কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে ভবনটি নির্মান করা হয়। এদিকে হঠাৎ করে গ্রামীণ উন্নয়নের বরাদ্ধে নির্মিত পরিষদের নব- নির্মিত গেইটে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়া নিজের নামে ভবন প্রতিষ্টাতা দাবী করে নাম ফলক টানানোয় এলাকায় নানান আলোচনা সমালোচনা পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়।

মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মেহের আলী মহালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি শুনেছি এটি সত্যি দুঃখজনক সরকারি ভবন কখনো কোন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা ।

এ বিষয়ে বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদ মোশাররফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্যি হাস্যকর এই ধরনের মনগড়া কর্মকাণ্ড আমাদেরকে লজ্জিত করে।

এদিকে এক প্রতিক্রিয়া স্থানীয় বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রসমাজের সদস্য নিয়ামুল করিম অপু বলেন, ভবনের প্রতিষ্ঠাতা দাবী করে গেইটে নাম ফলক টানানোয় এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে তাছাড়া অত্র ইউনিয়নের নাগরিক হিসাবে আমাদের লজ্জিত করেছে ।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি ।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।